আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
১) জামাতে নামাজের শুরুতে যে মুসল্লিদেরও তাকবির দিয়ে শুরু করা ফরজ এটা আমি কয়েকবছর আগে জানি, আগে মনে করতাম ইমামের তাকবিরই যথেষ্ট।
কিন্তু আমি নিশ্চিত না যে আমি তখন তাকবির বলতাম কিনা। এখন আমার কি করা উচিত?
আর এমন যদি হয়ে থাকে যে আমি তাকবির বলতাম কিন্তু এখন আমি যেহেতু সিউর না তাই নামাজ কাযা আদায় করছি (যদিও আদায় করার দরকার ছিলনা) তাহলে কি শুধু শুধু যে নিশ্চয়তার অভাবে নামাজ পড়লাম এরজন্য কোন নেকি পাব?
২) বন্ধু - বান্ধব,  ভাই-বোন বা পরিচিত কাওকে যদি আমি এমনিতেই খাওয়াই তাহলে কি আমার কোন নেকি হবে?

1 Answer

0 votes
by (687,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ رَبَّکَ فَکَبِّرۡ ۪﴿ۙ۳﴾ 

আর আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৩)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা নামাযের চাবি; তাকবীর তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হালালকারী। 
(হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭৫) তিরমিজি ০৩)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি এক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজ করবেন। যদি প্রবল ধারণা হয় যে আপনি তাকবিরে তাহরিমা বলেছেন,সেক্ষেত্রে সে নামাজ গুলির আর কাজা আদায় করতে হবেনা।

আর প্রবল ধারণা হয় যে আপনি তাকবিরে তাহরিমা বলেননি,সেক্ষেত্রে সে নামাজ গুলির কাজা আদায় করতে হবে।

যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হয়,সেক্ষেত্রে সেই নামাজ গুলি আদায় করলে 
আপনি অবশ্যই নেকি পাবেন।

(০২)
রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না এবং তোমার খাদ্য আল্লাহ্ভীরু লোক ছাড়া যেন অন্য কেউ না খায় (আবুদাঊদ হা/৪৮৩২; মিশকাত হা/৫০১৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৩৬)।

সুতরাং আল্লাহ্ভীরু লোককে খাওয়ালে নেকী হবে। আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ালে নেকী হবে।

বন্ধু বান্ধব,পরিচিত দের মাঝে কেউ গরিব থাকলে তাদেরকে খাওয়ালেও ছওয়াব রয়েছে।

মুমিন বন্ধুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে মেহমানদারী করা সুন্নাত,এমন নিয়তে খাওয়ালে নেকী হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...