বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পীরকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।এরচেয়ে বেশী কিছু ভাবা যাবে না।আপনি যে পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন।তা সালাফদের জীবন ইতিহাস ঘেটে কোথাও এর কোনো নযির পাবেন না।সুতরাং এই ধারার পীর মুরিদি অবশ্যই পরিত্যাজ্য। এগুলো শেষ পর্যন্ত ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে।নিজের ঈমান আ'মলের উপর প্রভাব বিস্তার করবে।ঈমান নষ্টের কারণ হবে।
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)
তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।
সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে ত্বরিকার পীর মুরিদির কথা উল্লেখ করেছেন,এটা পরিত্যাজ্য।