ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বৈশাখী ভাতা কেন দেওয়া হয়? এটা কি অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে? যদি এমন হয় তাহলে জায়েয হবে না। তবে যদি এমনিতেই বৎসরের সূচনা হিসেবে দেওয়া হয়, তাহলে নাজায়েয হবে না।
(২) সাদাকাতুল ফিতর ঈদের আগে এবং টাকা দিয়ে আদায় করা যাবে।
(৩) সিয়াম অবস্থায় স্বামি এবং স্ত্রী তাদের ঠোঁটের ভেজা অংশে চুমু দিলে, যদি পরস্পর পরস্পরের লালাকে গিলে ফেলে তাহলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে এবং কাযা কাফফারা উভয়টি আসবে। তবে গিলে না ফেললে রোযা ফাসিদ হবে না।
”ولو ابتلع بزاق غيره فسد صومه بغير كفارة إلا إذا كان بزاق صديقه فحينئذ تلزمه الكفارة كذا في المحيط“(فتاوی عالمگیری،کتاب الصوم،ج 1،ص 203،دار الفکر،بیروت)
(৪) মুসাফির থাকা অবস্থায় তারাবিহ সালাত পড়ার সুযোগ থাকলে তারাবিহ পড়ে নেয়াটাই উত্তম। তবে সুযোগ না থাকলে ছেড়ে দিলেও কোনো গোনাহ হবে না। জামাতে সুযোগ হলে জামাতে পড়াই উত্তম।
'' ویأتي المسافر بالسنن إن کان فی حال أ من و قرار وإلا بأن کان في خوف و فرار لا یأتي بها، هو المختار''. (التنویرو شرحه ‘ باب صلاة المسافر ۲/۱۳۱ ط سعید ) ( کفایة المفتی ج ۳؍ ۴۰۴)فقط واللہ اعلم
(৫) আপনার আব্বু সঠিক বলেছেন, বেলুন ফোলানো, কেক কাটা, এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি। ঈদ বা খুশীর কারণ হচ্ছে, গোনাহ মাফ করানো, সুতরাং গোনাহ মাফ করানোর যাবতীয় চেষ্টাপ্রচেষ্টা আপনাকে করতে হবে।
(৬) ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ শেষ হওয়ার পূর্বে ইশার নামায পড়ে নেয়াই উত্তম। মধ্য রাতের পর ইশার নামায পড়া মাকরুহ।
(৭) ফরজ ইবাদাত, তারাবিহ সালাত, ইস্তেগফার, কারো হক্ব নষ্ট না করা, অধিক দান সাদাকাহ করা, এগুলো করে নিতে পারলে অবশ্যই পূর্ণ সওয়াব পাবেন।তবে শর্ত হল, এই সব আমল করার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা।