আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in পবিত্রতা (Purity) by (39 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর

১.ফরজ গোসলে নাকে পানি দিতে হয় এখন এই পানি নাকের কোন পর্যন্ত নিতে হয়? কতটুকু সীমায় দিতে হয় নাকের ভিতর একটা হাড় থাকে সেই হাড়ের একদম উপর পর্যন্ত মানে হাতের আঙ্গুল যতদূর ভেতর পর্যন্ত যায় তত দূর পর্যন্ত কি পানি দিতে হবে?

২. সবসময় ফরজ গোসলে হাতে পানি নিয়ে কি নাকে জোরে পানি টানতে হবে? যদি অত জোরে না টেনে হালকা টেনে ভেজা আঙ্গুল দিয়ে  একদম ভেতর পর্যন্ত নাড়িয়ে নেই তাহলে কি তা  হবে?

৩.রোজা রেখে ফরজ গোসলে নাকে কিভাবে কতটুকু পানি দিবো? পানি জোরে টানবো নাকি না টেনে ভেজা হাত দিয়ে নাকের একদম ভেতর পর্যন্ত আঙ্গুল যতটুক যায় সেই শেষ পর্যন্ত নাড়িয়ে নেবো? রোজা ছাড়া সবসময় জোরে টানতে গেলে দেখা যায় মাথায় পানি উঠে গোলায়ও যায়।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
নাকের নরম স্থান বলতে নাকের ভিতর একটা হাড় থাকে সেই হাড়ের একদম উপর পর্যন্ত মানে হাতের আঙ্গুল যতদূর ভেতর পর্যন্ত যায় তত দূর পর্যন্ত ফরজ গোসলের মধ্যে পানি দিতে হবে।
এটি হলো সুন্নাত।

আর শুধু মাত্র নাকে পানি পৌছানো ফরজ।

(০২)
যদি অত জোরে না টেনে হালকা টেনে ভেজা আঙ্গুল দিয়ে একদম ভেতর পর্যন্ত নাড়িয়ে নেন, তাহলে তা হবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
রোযা অবস্থায় নাক দিয়ে পানি চলে গেলে, রোযা ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ، إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا

লাক্বীত ইবনু সাবারাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।
(আবু দাউদ ২৩৬৬)

وإن تمضمض أو استنشق فدخل الماء جوفه إن كان ذاكرا لصومه فسد صومه ،وعليه القضاء، وإن لم يكن ذاكرا لا يفسد صومه ،كذا في الخلاصة، وعليه الاعتماد.
(الفتاوى الهندية :1/ 8)
সারমর্মঃ
যদি কেহ কুলি করে বা নাকে পানি দেয়,আর পানি যদি পেটে প্রবেশ করে,তাহলে রোযা স্বরন থাকলে রোযা ভেঙ্গে যাবে,আর রোযা  স্বরন না থাকলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

গোসলের মাঝে গড় গড়িয়ে কুলি করা ও নাকের গভীর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। বরং সুন্নত। তাই রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলেও নাকের গভীরের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গড়গড়া ও নাকের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে বেশি চেষ্টা করা প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাকে পানি দিবে। 
,
قوله: “غسل الفم والأنف” أي بدون مبالغة فيهما فإنها سنة فيه على المعتمد (طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الطهارة، فصل بيان فرائض الغسل–102
সারমর্মঃ
গ্রহণযোগ্য মত অনুসারে গোসলের মধ্যে গরগরাইয়া কুলি ও নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো সুন্নাত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
রোযা অবস্থায় ফরজ গোসলে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে সেই আঙ্গুল নাকের ভিতরে সামান্য দিয়ে নাকের অগ্রভাগ সামান্য ভিজে নিবেন।

পানি কোনোক্রমেই নাক দিয়ে টেনে নেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...