ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/9976/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
■ হাদীস শরীফে এসেছেঃ
বিশিষ্ট তাবেয়ি শুবাহ (রহ.) বলেন-
عَنْ شُعْبَةَ
، قَالَ : سَأَلْتُ الْحَكَمَ ، وَحَمَّادًا عَنْ خُرْءِ الطَّيْرِ ؟ فَقَالاَ :
لاَ بَأْسَ بِهِ
‘আমি হাকাম ও হাম্মাদ (রহ.) কে পাখির বিষ্ঠা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন:
কোন সমস্যা নেই।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১২৬৬]
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পাখির ক্ষেত্রে তাদের বিষ্ঠা নাপাক হওয়ার মূলনীতি হলোঃ যেসব পাখির গোশত খাওয়া হালাল
এবং উড়ে বেড়ায় সেগুলোর বিষ্ঠা নাপাক নয়।
রদ্দুল মুহতার ১/৩২০.আহসানুল ফাতওয়া ২/৮৪.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/৩২২)
■ ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারতঃ
وفي “الدر
المختار” مع “رد المحتار” 577:1، ط: الأزهر، ( وخرء ) كل طير لا يذرق في الهواء
كبط أهلي (ودجاج ) أما ما يذرق فيه ، فإن مأكولا فطاهر وإلا فمخفف. وقال ابن
عابدين رح تحت قوله: ( قوله : فإن مأكولا ) كحمام وعصفور .اهـ.
সারমর্মঃ যেসব পাখি হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় সেগুলোর গোশত খাওয়া যদি হালাল হয়, তাহলে তার বিষ্ঠা পাক। অন্যথায় নাজাসাতে খফিফাহ।
■ গৃহপালিত হাঁস মুরগী এগুলো
উড়তে পারেনা এগুলোর বিষ্ঠা নাপাক।
جاء في
“الأصل” 25:1، ط: دار ابن حزم، قلت: الإناء يقع فيه عصفور او خرء حمام؟ قال: يلقيه
من الإناء، ثم يتوضأ به.اهـ.
সারমর্মঃ চড়ুই,কবুতর পাত্রে পড়লে পাত্র থেকে ফেলে দিতে হবে,অতঃপর সেই পানি দিয়ে অযু করা যাবে।
وفي “المبسوط”
171:1، ط: العمرية، ولا يفسد خرء الحمام ولاعصفور الماء فإنه طاهر عندنا.اهـ.
সারমর্মঃ কবুতর, চড়ুই পাখির বিষ্ঠা পানিকে নাপাক করবেনা। কেননা সেগুলো আমাদের নিকটে
পবিত্র।
وفي
“البزازية” 21:4، ط: زكريا، الخارج من بدن الإنسان على نوعين، طاهر كالعرق
والنخامة، واللبن، والدمع والريق. ونجس: وذلك كل ما يوجب خروجه الوضوء أو الغسل
وما يخرج من أبدان سائر الحيوان، فإنه نجس غير أبوال مأكول اللحم.اهـ.
সারমর্ম যে সমস্ত প্রানীর গোশত খাওয়া জায়েয নেই, মতলকান তাদের পেশাব নাপাক।
■ নাজাসতে গালিজাহ কি কি.
সে সম্পর্কে বলা হয়ঃ
كل ما يخرج من بدن الإنسان مما يوجب خروجه
الوضوء أو الغسل فهو مغلظ كالغائط والبول والمني والمذي والودي والقيح والصديد
والقيء إذا ملأ الفم. كذا في البحر الرائق.
وكذا دم الحيض
والنفاس والاستحاضة هكذا في السراج الوهاج وكذلك بول الصغير والصغيرة أكلا أو لا.
كذا في الاختيار شرح المختار
وكذلك الخمر
والدم المسفوح ولحم الميتة وبول ما لا يؤكل والروث وأخثاء البقر والعذرة ونجو
الكلب وخرء الدجاج والبط والإوز نجس نجاسة غليظة هكذا في فتاوى قاضي خان
وكذا خرء
السباع والسنور والفأرة. هكذا في السراج الوهاج بول الهرة والفأرة إذا أصاب الثوب
قال بعضهم: يفسد إذا زاد على قدر الدرهم وهو الظاهر. هكذا في فتاوى قاضي خان
والخلاصة خرء الحية وبولها نجس نجاسة غليظة وكذا خرء العلق. كذا في التتارخانية
ودم الحلمة والوزغة نجس إذا كان سائلا. كذا في الظهيرية فإذا أصاب الثوب أكثر من
قدر الدرهم يمنع جواز الصلاة. كذا في المحيط.
ভাবার্থঃ- ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে
গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি (বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি (প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়, (বাহরুর রায়েক)
■ এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-
হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার
করুক বা না করুক। মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম। গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের
বিষ্ঠা।
হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা। বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে
কেরামগণ মনে করেন যে, যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র। আর কিছুসংখ্যক না করেন।
সাপের বিষ্টা ও প্রস্রাব। জোকের বিষ্টা। আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া;১/৪৬)
এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
■ পাখির ক্ষেত্রে তাদের বিষ্ঠা নাপাক হওয়ার মূলনীতি হলোঃ যেসব পাখির গোশত খাওয়া হালাল
এবং উড়ে বেড়ায় সেগুলোর বিষ্ঠা নাপাক নয়।
রদ্দুল মুহতার ১/৩২০.আহসানুল ফাতওয়া ২/৮৪.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/৩২২)
■ ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারতঃ
وفي “الدر
المختار” مع “رد المحتار” 577:1، ط: الأزهر، ( وخرء ) كل طير لا يذرق في الهواء
كبط أهلي (ودجاج ) أما ما يذرق فيه ، فإن مأكولا فطاهر وإلا فمخفف. وقال ابن
عابدين رح تحت قوله: ( قوله : فإن مأكولا ) كحمام وعصفور .اهـ.
সারমর্মঃ যেসব পাখি হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় সেগুলোর গোশত খাওয়া যদি হালাল হয়, তাহলে তার বিষ্ঠা পাক। অন্যথায় নাজাসাতে খফিফাহ।