আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।

 ️রমযানে নাকি ইফতারের জন্য মাগরিবের নামাজ দেরী করে পড়া যায়।এটা কি সঠিক? রমযানে মাগরিবের নামাজের আউয়াল ওয়াক্ত কতক্ষণ থাকে?
বিয়ের সঠিক নিয়ম,বিয়ের আগের -পরের মাসয়ালা,প্রস্তুতির জন্য কোন কোন বই পড়া উচিত।

জাঝাকাল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو أَيُّوبَ غَازِيًا وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ يَوْمَئِذٍ عَلَى مِصْرَ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ فَقَامَ إِلَيْهِ أَبُو أَيُّوبَ فَقَالَ لَهُ مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ يَا عُقْبَةُ فَقَالَ شُغِلْنَا . قَالَ أَمَا سَمِعْتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا تَزَالُ أُمَّتِي بِخَيْرٍ - أَوْ قَالَ عَلَى الْفِطْرَةِ - مَا لَمْ يُؤَخِّرُوا الْمَغْرِبَ إِلَى أَنْ تَشْتَبِكَ النُّجُومُ "

মারসাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আবূ আইয়ূব (রাঃ) জিহাদ হতে ফিরে আমাদের নিকট আসলেন, সে সময় ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) মিশরের শাসনকর্তা ছিলেন। তিনি মাগরিবের সলাত আদায়ে বিলম্ব করলে আবূ আইয়ূব (রাঃ) ‘উক্ববাহ্ (রাঃ)-এর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, হে ‘উক্ববাহ্! এটা আবার কেমন সলাত? ‘উক্ববাহ্ (রাঃ) বললেন, আমরা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তিনি বললেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেননিঃ আমার উম্মাত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে যতদিন তারা মাগরিবের সলাত আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করবে না।

রাফে ইবনে খাদিজা (রা.) বলেন, আমরা নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করতাম। অতঃপর নামাজ শেষে আমাদের কেউ চলে গেলে তখন সে তীর নিক্ষেপের স্থান দেখতে পেত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৩৭; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫৯)

হাদিস ভাষ্যকার আল্লামা আইনি (রহ.) বলেন, ওই হাদিস থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে রাসুলুল্লাহ (সা.) মাগরিব নামাজ সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে পড়তেন এবং এত আগে পড়তেন যে নামাজ শেষ করার পরও চতুর্দিক আলোকিত থাকত। অন্ধকার হয়ে যেত না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবু জামরা দুবায়ী (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি রমজানে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে ইফতার করতেন।...তিনি বলেন, ‘যখন সূর্য অস্ত যেত তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) আজান দিয়ে খাবার খেতেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে খাবার খেতাম। খাবার শেষে ইকামত দেওয়া হতো। তখন তিনি নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন।
আমরাও তাঁর সঙ্গে নামাজ পড়ে নিতাম। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস ৯০৩৬)

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي أَوْفَى - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فَلَمَّا غَابَتِ الشَّمْسُ قَالَ " يَا فُلاَنُ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَيْكَ نَهَارًا . قَالَ " انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا " . قَالَ فَنَزَلَ فَجَدَحَ فَأَتَاهُ بِهِ فَشَرِبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ " إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا وَجَاءَ اللَّيْلُ مِنْ هَا هُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ " .

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আওফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান মাসে কোন এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ এর সঙ্গী ছিলাম। সূর্য ডুবে গেলে তিনি বললেন, হে অমুক! অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আনো। সে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! এখনো দিন রয়ে গেছে। পুনরায় তিনি বললেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। তখন সে অবতরণ করল এবং ছাতু গুলে তার নিকট পেশ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পান করলেন এবং হাত দ্বারা ইঙ্গিত করে বললেন, সূর্য এদিক থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং রাত্র যখন এদিক থেকে ঘনিয়ে আসবে, তখন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালনকারী ইফত্বার করবে। (মুসলিম ২৪৪৯,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪২৬, ইসলামীক সেন্টার ২৪২৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রমযানে নাকি ইফতারের জন্য মাগরিবের নামাজ ১০-১৫ মিনিট দেরী করে পড়া যায়।এটা সঠিক।
তবে এর চেয়ে বেশি দেড়ি করলে আওয়াল ও মুস্তাহাব ওয়াক্তে পড়ার ছওয়াব মিলবেনা।

(০২)
বিবাহের সুন্নাত পদ্ধতি সংক্রান্ত জানুনঃ- 

বিবাহের ক্ষেত্রে করনীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ- 

আরো জানতে মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন সাহেব দাঃবাঃ এর লেখা আহকামে জিন্দেগী গ্রন্থ পড়তে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (573,960 points)
روى البخاري ومسلم أن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ كان في سفر مع أصحابه في رمضان، فلمَّا غابَتِ الشمس طلب من بلال أن يُعِدَّ لهم طعام الإفطار، فلمَّا أعدَّه شَرِبَ النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثم أشار بيده ” إذا غابت الشمس من هاهنا وجاء الليل من هاهنا فقد أفطر الصائم” أي حلَّ له الفِطْر. فإذا غاب قُرْص الشمس حلَّ الفِطْر حتى لو كان الشفق مُضيئًا. 



وروى أبو داود عن أنس ـ رضي الله عنه ـ أن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ كان يُفْطر قبل أن يُصلي المغرب، وفطره كان رُطَبَات، فإن لم يجد فتمرات، فإن لم يجد فَعَلَى ماءٍ، وهذا الإفطار الخفيف المحتوِي على بعْض السُّكَّريات له فوائده الطبية العظيمة

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 375 views
...