আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

একটা ছেলে, বয়স ২১+ চলে, কর্মঠ। যার পরিবার প্র্যাক্টিসিং না।

সে প্রথমে তার পরিবারের একজনের মাধ্যমে গোপন গোনাহের জগতে ঢোকে। তখন থেকে তার দ্বারা গোনাহ হত প্রায়।

 যখন বড় হয়েছে, গোনাহের মাত্রা বাড়তে থাকে।

তখন দ্বীনের বুঝ ছিল না। এরমাঝে সে একটা হারাম রিলেশনে জড়িত হয়। এরপর আস্তে আস্তে যখন দ্বীনের বুঝ পায়, তখন বুঝে সে যে রাস্তায় আছে তা গোনাহ।

তখন অনেক চেষ্টা করেছে গোপন গোনাহ ছাড়ার ও রিলেশন থেকে বের হওয়ার। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হত।

পরে দ্বীনের বুঝ অনুযায়ী বুঝে যে, তার উপর বিয়ে ফরয। বিয়ে না করলে যিনার মত মারাত্মক গোনাহে জড়িয়ে যাবার প্রবল সম্ভাবনা ছিল।

তখন পরিবারে জানায় বিয়ে করায় দিতে, মা'কে অনেকভাবে বলেছে, এমনকি মায়ের মোবাইলে ভয়েস দিয়ে কান্নাকাটি করে নিজের গোনাহের কথা পর্যন্ত বলেছে, যাতে বিয়ের দিয়ে দেয় গোনাহ না হওয়ার জন্য।
তখন তাদের বক্তব্য ছিল, তার বোনের (যার বিয়ে হতে আরও ৩-৪বছর) বিয়ে হলে, এবং ছেলে ৩০+ হাজার ইনকাম করলে তবেই বিয়ে দিবে। এরআগে হারাম রিলেশনে থাকলে থাকুক, তাদের সমস্যা নেই৷ মন পবিত্র থাকলে এসবে কিছু হয়না, এমন এমন নানা কথা। তখন ছেলের জব ছিলনা

ছেলে মেয়ের পরিবারকে রাজি করেছিলো যে, বিয়ের পর মেয়ে মায়ের বাসায় থাকবে, তাও ছেলের পরিবার রাজি হয়নি।

পরে বাধ্য হয়ে ছেলে মা-বাবাকে না জানিয়ে মেয়ের পরিবারকে রাজি করিয়ে বিয়ে করেছে।

এখন বিয়ের কথা ছেলের পরিবার জানছে। এখন তারা বলতেছে, তাদের কেন জানায়নি। তাদের অনুরোধ করলে বিয়ে দিত, এমন এমন কথা। অথচ বিয়ের আগে তারা কোনো গুরুত্বই দেয়নি। যার কারণেই ছেলে বাধ্য হয়েছে না জানিয়ে বিয়ে করতে।
এমতাবস্থায় যে তার মা-বাবা কষ্ট পেয়েছে ছেলে না জানিয়ে বিয়ে করাতে, তাতে কি ছেলে গোনাহগার হবে?

আর তারা মেয়েকে তাদের সাথে রাখতে দিবেনা, ছেলে ২০+ ইনকাম করলে, তবেই দিলে দিবে। কিন্তু তার বাবা রাজি না বড় বাসা নিতে আর বাসা চেঞ্জ করতে। ছেলের বউকেও মেনে নিচ্ছেনা।

তারা স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকা জরুরি তাদের জন্য।বর্তমানে তার ইনকাম ১০ হাজার। ২মাস পরে আরেকটা জব করে বউকে অন্য বাসায় তুলতে চাচ্ছে।

 ছেলে আলাদা বাসা নিয়ে থাকলে, যদিও মা-বাবা না চায়, তাহলে কি গোনাহগার হবে?

ছেলের পরিবারের যা চাহিদা, তা পূরণ করে থাকতে হলে আরও ১.৫+ বছর লাগতে পারে, কিন্তু এটা স্বামী-স্ত্রীর জন্য কষ্টকর।

এখন তাদের করণীয় কি উস্তায?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ 
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ছেলের বিয়েতে যে তার মা-বাবা কষ্ট পেয়েছে, তাতে ছেলে গোনাহগার হবেনা।
ছেলে এক্ষেত্রে মা বাবাকে বিবাহে রাজী করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।

তবুও সতর্কতামূলক মা বাবা থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবে।

এক্ষেত্রে তারা যেহেতু ছেলের স্ত্রীকে তাদের বাসায় থাকতে দিবেনা,সুতরাং এমতাবস্থায় ছেলে অন্যত্রে বাসা নিয়ে থাকলেও তার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...