وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় হস্তমৈথুনের কারনে বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর এটা যে ভয়াবহ গুনাহের কাজ তা বলাই বাহুল্য।
তবে শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোযার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৬
কামভাবের সাথে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে রোযা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো গুনাহ। যা রোযা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে ঐ ব্যক্তি রোযার ফযীলত ও বরকত থেকে মাহরূম হয়ে যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোযা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯ আরো দেখুন : সহীহ বুখারী ১/২৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৬।
হাদীস শরীফে কামেচ্ছা চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকাকে রোযার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ঐ সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জান। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের চেয়েও বেশি প্রিয় (আল্লাহ তাআলা বলেন,) রোযাদার আমার জন্য পানাহার করা থেকে এবং কামেচ্ছা চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকে।-সহীহ বুখারী ১/২৫৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭২; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৯)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি হস্তমৈথুন এর দরুন বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এক্ষেত্রে উক্ত রোযার শুধু কাজা আবশ্যক হবে।
কাফফারা আদায় করা আবশ্যক হবেনা
আর যদি বীর্যপাত না হয়,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। রোযা হয়ে যাবে
তবে রোযার ফযীলত ও বরকত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে।
এহেন কাজ তো এমনিতেই গুনাহ আর রোযার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ।
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার আমল জানুনঃ-