ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/70631/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ
زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ
زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا،
وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের
যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের
সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে]
চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং
মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
সওয়াবের আশায় ও দ্বীনের দাওয়াতের জন্য কাউকে বই হাদিয়া দেয়া
জায়েজ আছে।
তবে নন মাহরামকে সরাসরি হাদিয়া দিলে ফিতনার আশংকা থাকে। তাই
ফিতনার আশংকা থাকলে জায়েজ হবে না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নন মাহরামকে বই হাদিয়া
দিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার বা আপনার কোনো বন্ধুর মাহরাম কোনো মহিলার মাধ্যমে
দিবেন।
যদি এমনটা সম্ভব না হয়, আর যদি অগত্যা আপনাকেই তা দিতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি
পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে নন মাহরাম কাউকে বই হাদিয়া দেন, বা অন্যের মাধ্যমে
দিতে পারবেন। বা এমন ভাবে তাদের কাছে পৌছে দিবেন যাতে ফিতনার আশংকা না থাকে।
এই ক্ষেত্রে শর্ত হলো, উভয় পক্ষ থেকেই ফিতনার কোনো আশংকা না থাকতে হবে।