ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
তার উপর ফরয সে নামাযের পড়ার উপযোগী সূরা সমূহ মুখস্থ করবে। নামায পড়ার নিয়ম কানুন শিখবে।রোযা,হজ্ব,যাকাত ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক জ্ঞানার্জন করবে। যতদিন না সে সূরাহ সমূহ শিখছে, এর পূর্ব পর্যন্ত সে তাসবিহাত তথা সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহু আকবার দ্বারা নামায পড়বে।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
(২)
আপনি তাহাররি তথা গভীর ভাবে মনযোগ দিয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখবেন যে, তাশাহুদ পড়েছেন কি না? যদি তিন তাসবিহর অধিক সময় ধরে চিন্তা করেন,তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে। অথবা তিন তাসবিহের কম সময় ধরে চিন্তাভাবনা করে যদি দেখেন যে, তাশাহুদ পড়েননি, তাহলে তাশাহুদ পড়ে নিবেন এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়ে দিবেন।
(৩)
আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করে নিবেন। এবং এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নামায রোযা করবেন।
(৪)
আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করে নিবেন। এবং এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নামায রোযা করবেন। এশার ওয়াক্তের পূর্ব পর্যন্ত মাগরিব পড়তে পারবেন।
(৫) দিন তারিখ ঠিক করে মৃত ব্যক্তির জন্য অনুষ্টানের আয়োজন করা বিদ'আত। সুতরাং এরকম আয়োজন থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন।
(৬) লক্ষী যেহেতু একটি হিন্দু দেবতার নাম, তাই এ নামে কাউকে ডাকা যাবে না।