আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, আমরা জানি যে মাজারে মানত হারাম বা শিরক এর পর্যায়ে, তবে গ্রামের দিকে দেখা যায় যে অনেক পরিবারের মানুষ তাদের পরিবারের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে এভাবে মানত করে যে যদি আমার বাবা/মা/ মেয়ে/ছেলে সুস্থ হয়ে গেলে বা আমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আমি ঐ মসজিদে ( মসজিদের নাম নির্দিষ্ট করে দেয় যেমন রাজশাহীর বিখ্যাত বাঘা মসজিদ) ১/২ টা মোরগ/১টা ছাগল/১টা গরু দেবো,

যখন সমস্যাটার সমাধান হয়ে যায় বা ব্যক্তি রোগ থেকে মুক্ত হয় তখন ঐ পরিবারের লোকজন বা মানতকৃত ব্যক্তি ঐ নির্দিষ্ট পশু নিয়ে গিয়ে ঐ মসজিদে নিয়ে গিয়ে জবাই করে,তারপর রান্না করে সেই খাবার ঐখানে থাকা কিছু গরিব,ফকির,মিসকিনদের দেয় আর সেই সাথে মানতকৃত পরিবারের লোকজন,আত্মীয় স্বজন যারা যায় সবাই সেই খাবার খায়।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে মানত করা জায়েজ হবে কিনা? এটা কি শিরক এর পর্যায়ে পরবে?

রান্নাকৃত ঐ খাবার পরিবারের লোক ও আত্মীয় স্বজনরা মিলে খেতে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/375


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'যদি আমার বাবা/মা/ মেয়ে/ছেলে সুস্থ হয়ে গেলে বা আমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আমি ঐ মসজিদে ( মসজিদের নাম নির্দিষ্ট করে দেয় যেমন রাজশাহীর বিখ্যাত বাঘা মসজিদ) ১/২ টা মোরগ/১টা ছাগল/১টা গরু দেবো'


এভাবে মান্নত করলে সেই মান্নতকে পূর্ণ করা ওয়াজিব।
তবে মাজারের কিছু দেওয়ার মান্নত করলে, সেটা মাজারে না দিয়ে গরীবদেরকে দিয়ে দিলেই হবে।

اللَّهُمَّ إلَّا إنْ قَالَ يَا اللَّهُ إنِّي نَذَرْت لَك إنْ شَفَيْت مَرِيضِي أَوْ رَدَدْت غَائِبِي أَوْ قَضَيْت حَاجَتِي أَنْ أُطْعِمَ الْفُقَرَاءَ الَّذِينَ بِبَابِ السَّيِّدَةِ نَفِيسَةَ أَوْ الْإِمَامِ الشَّافِعِيِّ أَوْ الْإِمَامِ اللَّيْثِ أَوْ اشْتَرَى حُصْرًا لِمَسَاجِدِهِمْ أَوْ زَيْتًا لِوَقُودِهَا أَوْ دَرَاهِمَ لِمَنْ يَقُومُ بِشَعَائِرِهَا إلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا يَكُونُ فِيهِ نَفْعٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالنَّذْرُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَذِكْرُ الشَّيْخِ إنَّمَا هُوَ مَحَلٌّ لِصَرْفِ النَّذْرِ لِمُسْتَحِقَّيْهِ الْقَاطِنِينَ بِرِبَاطِهِ أَوْ مَسْجِدِهِ فَيَجُوزُ بِهَذَا الِاعْتِبَارِ، (رد المحتار، فصل فى العوارض المبيحة لعدم الصوم-2/439
والله اعلم 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...