আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া এক মহিলার ২০২১ সালে বিয়ে হয় এক মুসলিম যুবকের সাথে। ২০২২ সালে অর্থাৎ ১ বছর পর তাদের তালাক হয়ে যায়। মহিলা পরবর্তীতে আর বিয়ে করেনি। পথভ্রষ্ট হয়ে কুফরি করে ঈমান ভঙ্গ করে, নাস্তিক হয়। অতপর হেদায়েত আসে পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এখন তিনি নতুন করে পূর্বের স্বামীকে গ্রহণ করতে চাইলে প্রথমেকি তার অন্যত্রে বিয়ের জরুরত আছে? নাকি ইসলাম গ্রহণে পূর্বের হিসাব বাতিল হবে? পূর্বের স্বামীকে পুনরায় বিয়ের উপায় কী?

1 Answer

0 votes
by (559,410 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

الفتاوى الهندية: (473/1، ط: دار الفكر)
ولو ارتدت المطلقة ثلاثا ولحقت بدار الحرب ثم استرقها أو طلق زوجته الأمة ثنتين ثم ملكها ففي هاتين لا يحل له الوطء إلا بعد زوج آخر كذا في النهر الفائق۔
সারমর্মঃ-
যদি তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মুরতাদ হয়ে যায়,এবং দারুল হারবে গিয়ে যুক্ত হয়,অতঃপর পূর্বের স্বামী তার মালিক হয়ে যায়,,,,সেক্ষেত্রে স্বামীর জন্য সহবাস হালাল হবেনা,অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বসার আগ পর্যন্ত।

الدر المختار مع رد المحتار: (412/3، ط: دار الفكر)
لاشتراط الزوج بالنص، فلا يحلها وطء المولى ولا ملك أمة بعد طلقتين، أو حرة بعد ثلاث وردة وسبي ونظيره من فرق بينهما بظهار، أو لعان ثم ارتدت وسبيت ثم ملكها لم تحل له أبدا۔
(قوله: لاشتراط الزوج بالنص) أي في قوله تعالى {حتى تنكح زوجا غيره} [البقرة: 230] فإنه جعل غاية لعدم الحل الثابت بقوله تعالى {فلا تحل له} [البقرة: 230] فإذا طلق زوجته الأمة ثنتين ثم بعد العدة وطئها مولاها لا يحلها للأول ولأن المولى ليس بزوج (قوله: ولا ملك أمة إلخ) عطف على قوله " وطء المولى ": أي لو طلقها ثنتين وهي أمة ثم ملكها، أو ثلاثا وهي حرة فارتدت ولحقت بدار الحرب ثم سبيت وملكها لا يحل له وطؤها بملك اليمين حتى يزوجها فيدخل بها الزوج ثم يطلقها كما في الفتح۔
সারমর্মঃ-
যদি স্বামী তার স্ত্রীকে দাসী থাকা অবস্থায় দুই তালাক দেয়,অতঃপর তার মালিক হয়,অথবা আযাদ স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়,তারপর সেই স্ত্রী মুরতাদ হয়ে যায়,এবং দারুল হারবে গিয়ে যুক্ত হয়,কয়েদ হয়,অতঃপর পূর্বের স্বামী তার মালিক হয়ে যায়,,,,সেক্ষেত্রে স্বামীর জন্য সহবাস হালাল হবেনা,অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ,সহবাস,তালাকের আগ পর্যন্ত।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ মহিলা যদি ১/২ তালাক প্রাপ্তা হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।  এরপর তারা ঘর সংসার করতে পারবে।

আর যদি সেই মহিলা তিন তালাক প্রাপ্তা হয়,সেক্ষেত্রে পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হল, আপনার সেই মহিলার অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।

তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি সেই মহিলাকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল ১ম স্বামী আবার উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবে। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবে। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...