আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার একজন পরিচিত বোন। উনি একটা হারাম রিলেশন এ জরিয়ে গিয়েছিল।  তারপর যখন বুঝতে পারে যে এটা হারাম সে এটা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছে অনেক। কিন্তু পারে নি। তাই পরিবার কে জানিয়েছে বিষয় টা যাতে করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার তার সব আত্মীয় যেমন : খালা,মামা,খালাতো বোন, খালাতো ভাই এদের কে জানিয়ে সবাইকে ডেকে এনে মেয়েটাকে অপমান করেছে। সবাই জেনে তারা তাদের কাছের সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে বিষয় টা। এভাবে সব আত্মীয়রা জেনে গিয়ে মেয়ে টাকে হেয় করছে, ছোট করছে।
১.এখন আমার কথা হলো, যারা গোপন বিষয় টা সবাইকে জানিয়ে মেয়ে টাকে ছোট করেছে (খালাতো বোন,মামা)দের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করলে কি পাপ হবে?  আর মেয়ে টা তো পাপ থেকে বাচতেই পরিবার কে জানিয়েছে। এখন যদি এই বিষয় এর জন্যে মামা খালারা নিজে থেকেই যোগাযোগ ছিন্ন করে তবে কি মেয়ে টার কোনো পাপ হবে?

২. যদি পরিবার দ্বীন দারি কে প্রাধান্য না দিয়ে দ্বীনহীন কারো সাথে বিয়ে দিতে চায় আর মেয়ে টা যে ছেলে কে বিয়ে করতে চেয়েছিল তার দ্বীনদারী থাকে কিন্তু বংশের দিক থেকে নিচু হয় তবে কি মেয়ে টা পালিয়ে বিয়ে করতে পারবে?আর পালিয়ে বিয়ে করার পর যদি আত্মীয়রা আর কখনো যোগাযোগ না রাখে তবে কি মেয়েটার পাপ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যে সমস্ত আত্মীয়দের কাছে মেয়েটা সাহায্যর আশায় মনের কথাটি ব্যক্ত করেছিলো, তাদের উচিৎ ছিলো, আন্তরিকভাবে কথাটিকে গ্রহণ করা। যাই হোক, এজন্য তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো যৌক্তিকতা নাই। বরং মেয়ের উচিৎ নিজের অতীত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করা এবং আত্মীয় স্বজন সবার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করা। আত্মীয় স্বজনরা যদি নিজেদের ইচ্ছায় সম্পর্ক ত্যাগ করে, তাহলে এক্ষেত্রে মেয়ের কোনো গোনাহ হবে না।

(২)
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন- https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি পরিবার দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য না দিয়ে দ্বীনহীন কারো সাথে বিয়ে দিতে চায়, আর মেয়েটা যে ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিল তার দ্বীনদারীতা থাকে, কিন্তু বংশের দিক থেকে নিচু হয়, তাহলে এমতাবস্থায় মেয়েটা পালিয়ে বিয়ে করতে পারবেনা। বরং সর্বদা মাতাপিতা ও আত্মীয় স্বজনকে সাথে নিয়ে সিদ্ধাস্ত গ্রহণ করবে। এটাই কল্যাণজনক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...