আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
সফর অবস্থায় কাপড় সাদাস্রাব বা পেশাবের কারণে যদি নাপাক হয়ে যায়, সেই কাপড় পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না। আবার অনেক সময় কারো বাসায় গেলে সাদাস্রাব কাপড়ে লেগে যায় ওই সময়ে এক্সট্রা কাপড় না থাকার কারণে কাপড় বদলানোর সুযোগ থাকেনা। সেক্ষেত্রে নামাযের সময় হলে কিভাবে নামায আদায় করতে হবে।
অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ বাসার বাইরে থাকা হয়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওযূ করেই বের হওয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যে সালাতের ওয়াক্ত হলে সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে কিনা বা কাপড়ে লেগেছে কিনা বোঝা যায়না। চেক করারও উপায় থাকেনা। সেক্ষেত্রে সালাতের ওয়াক্ত হলে সালাত আদায় করে ফেলা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাসায় এসে কাপড়ে সাদাস্রাবের আলামত দেখতে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উক্ত সালাত কী সহিহ হবে?


সফর অবস্থায় বা বাইরে থাকাকালীন যদি ওযূ না থাকে, ওযূ করার ব্যবস্থা থাকে কিন্তু ওযূ করতে গেলে পর্দার খেলাফ হবে তখন কিভাবে ওযু করতে হবে?


যদি কাপড়ে খুবই সামান্য পরিমাণ সাদাস্রাব বা পেশাব লাগে যে পরিমাণ একটি গোল কয়েনের সমান না হয় তাহলে সেই কাপড়ে কী সালাত আদায় বৈধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঈমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।সময়মতো নামাজ পড়তেই হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, 
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সুরা নিসা: ১০৩) 

যে কাপড়ে নাপাকি লেগেছে যদি ওই কাপড়ের চতুর্থাংশ বা তার বেশি অংশ পবিত্র হয় এবং ঐ ব্যক্তির নিকট কাপড় ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকে এবং ঐ কাপড় ছাড়া সঙ্গে অন্য কোনো কাপড়ও না থাকে এবং ব্যবস্থা করাও সম্ভব না হয়। অন্যদিকে নামাজের সময়ও শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় ওই কাপড় দিয়ে ওয়াক্তের ভেতর নামাজ আদায় করে নেবে। এবং পরবর্তীতে পুনরায় নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা হবে না। ( ইমদাদুল ফাতাওয়া: ১/১১৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পরিহিত কাপড়ে চায় নাপাক হোক, প্রশ্নে বর্ণিত পরিস্থিতিতে নামায পড়ে নিবেন। পরবর্তীতে ঐ নামাযকে দোহড়ানো ওয়াজিব না হলেও পড়ে নেয়াটাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...