জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
গায়রে মাহরাম নারীদের কন্ঠ কল্পনা করা গুণাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
(০২)
হ্যাঁ, এ সংক্রান্ত হাদীস আছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي سُمَىٌّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَعَوَّذُ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوءِ الْقَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বালা মুসীবতের কঠোরতা, দুর্ভাগ্যে পতিত হওয়া, ভাগ্যের অশুভ পরিণতি এবং দুশমনের আনন্দিত হওয়া থেকে আশ্রয় চাইলেন। সুফ্ইয়ান (রহ.)-এর হাদীসে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ আছে। একটি আমি বৃদ্ধি করেছি। জানি না তা এগুলোর কোনটি।[বুখারী ৬৩৪৭,৬৬১৬; মুসলিম ৪৮/১৬, হাঃ ২৭০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯০১ ,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৪)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوءِ القضاءِ وشَماتة الْأَعْدَاء»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা বিপদাপদে কষ্ট-ক্লিষ্ট ও দুর্ভাগ্যের আক্রমণ, ভাগ্যের অনিষ্টতা এবং বিপদগ্রস্তে শত্রুর উপহাস থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো।
(বুখারী ৬৬১৬, মুসলিম ২৭০৭, সহীহ আল জামি‘ ২৯৬৮, সহীহাহ্ ১৫৪১।)
(০৩)
হ্যাঁ, শুকরিয়া আদায়ের ছওয়াব হবে।
(০৪)
ক, গায়রে মাহরামদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক দৃষ্টিও উদ্দেশ্য।
তবে অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি বা প্রয়োজনে দৃষ্টি দিলে সেটি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি গেলেও সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে।
খ, কাফের(হারবীও জীম্মসহ সকল কাফের) নারীদের সাথেও দৃষ্টি সংযত রাখবে।
গ.এক্ষেত্রে বেপর্দা নারী ও পর্দাশীল উভয় নারী থেকেই দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে।
(০৫)
এটি পর্দাশীল -বেপর্দা, কাফের(হারবী -জিম্মি ) ইত্যাদি ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
প্রয়োজনে কথা বললে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতে হবে। সামনে চলে আসলে দৃষ্টি নত রাখতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবেনা।
ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।
(০৬)
১ম সালাম দেয়ার ছওয়াব পাবেন।
শেষে সালাম দেয়াও সুন্নাত।
(০৭)
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
(০৮)
না,গুনাহ হয়নি।
(০৯)
না,গুনাহ হবেনা।
(১০)
হ্যাঁ, ছওয়াব পাবেন।