আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
১)আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর গত পোস্টে আমি বলেছিলাম উকিল নিয়োগ করে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আর এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু আমার বর্তমান প্রশ্নটি ভালোভাবে খেয়াল করার জন্য অনেক অনুরোধ করছি হুজুর পূর্বে কিছু কথা বাদ পড়েছিল। আমাদের সহবাস বা নির্জনবাস কোনো কিছুই হয়নি। বিয়ের অনেকদিন পর আমার স্বামীর কিছু খারাপ কাজ আমার সামনে আসে যা আমার সহ্য করার মত ছিলোনা তাই আমি তার কাছে তিন তালাক চেয়েছিলাম এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। তার আমাকে ছাড়ার ও কোনো নিয়ত ছিলোনা। আমি তাকে তিন তালাক দেওয়ার জন্য আর ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রেসার দেওয়ার কারনে ছেড়ে দিলাম এবং মুক্তি দিলাম কথা গুলো বলেছিল আমি জানতাম সে এগুলো তালাকের নিয়তে বলেনি। তাই আমি তাকে তখন বলেছিলাম এই কথা গুলোয় তালাক হয়না স্পষ্ট করে তালাক বলো আমাকে তিন তালাক দিয়ে বিদায় করো। সে তখন বললো এই কথা গুলোয় হবে আমি আর অন্য কিছু বলতে পারবোনা মানে সে তালাক বলতে পারবেনা। কোনোভাবেই আর তালাক বলেনি। হুজুর এখন আমার জানার বিষয় হচ্ছে যখন তালাক চেয়েছিলাম সে প্রথমে ছেড়ে দিলাম মুক্তি দিলাম কথা গুলো বলেছিল যতদুর জানি তালাকের নিয়তে বলেনি তবুও সহবাস বা নির্জনবাসের পূর্বে এখানে হয়ত এক তালাক হয়ে গেছে। পরে যখন আমি বললাম এই কথা গুলোয় হয়না স্পষ্ট করে তালাক বলো তিন তালাক দাও তখন সে বললো এই কথা গুলোয় হবে আমি আর অন্য কিছু বলতে পারবোনা। আমার এই কথাটি খেয়াল করবেন হুজুর আমি এখানে ওই কথা গুলোয় তালাক হবেনা বলে তিন তালাক চাওয়ায় আর সে ওই কথা গুলোয় হবে বলায় পরে কি ওই এক তালাক ভেঙে তিন তালাক হয়ে গেছে। তার এখন বর্তমানে কোনো কিছুই মনে নেই। আমার কাছে হাত পা ধরে মাফ চেয়েছিল তাই আমি মাফ করে পুনরায় বিয়ে করে সংসার করতেছি। কিন্তু এখন আমি এইটা নিয়ে অনেক জটিল সমস্যায় ভুগতেছি আমি কি আর সংসার করতে পারব তার সাথে আমি একটি সঠিক সমাধান চাই হুজুর। যত তাড়াতাড়ি দিবেন আমার উপকার হবে হুজুর আমি দোটানায় ভুগতেছি।

2) আরেকটি প্রশ্ন হুজুর পুনরায় বিয়ের পর আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার দিয়েছিল সে আমাকে বলেছিল তুমি তালাক দিয়ে দিও তুমিও তালাক দিতে পারবে কিন্তু আমি জানতাম না এর মাধ্যমে তালাকের অধিকার পাওয়া হয়। আমি কখনোই জানতামনা মেয়েরা যে তালাকের অধিকার পায় বা তালাক দিতে পারে কখনো। এর কয়েকদিন পর ঝগড়া হয়েছিল ঝগড়া করে আমি আমার স্বামীকে আর সবাইকে বলেছিলাম আমি ওকে ছেড়ে দিয়েছি ওকে বলো আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সবাই বুঝাচ্ছিলো তবুও আমি বার বার ওকে ছেড়ে দিয়েছি ও আমাকে ডিভোর্স দিতে বলো এই কথা রাগে বলেছিলাম। আমি নিজের উপর তালাকের কোনো নিয়তে বলিনি আমি জানতামনা আমি অধিকার পেয়েছি বা আমার কথায় কোনো তালাক হবে কি না তাও আমি জানতামনা। আমি শুধু জানতাম সে তালাক দিলে হবে নাহলে হবেনা। আমি জানিনা অধিকার যে আমি পেয়েছি আমি অধিকারের কথা না জেনে ওই সময়ে ওকে ছেড়ে দিয়েছি বলায় এই কথায় কি কোনো তালাক হবে। বা না হয়ে থাকলে এখন আমি জানার কারনে কি ওই তালাক এখন হবে আমি তালাকের অধিকারের কথা তখন জানলে কখনো এই কথা বলতামনা।
আমি চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়তেছি আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর দিন হুজুর দুইটারই উত্তর দিয়েন হুজুর আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করতেছি হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...