আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
গোসলও ফরজ অবস্থায় তো কুরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ।কিন্তু ফরজ গোসল অবস্থায় কী কুরআনের আয়াতের বাংলা অনুবাদ লেখা যাবে?

কোনো লোক যদি ফরজ গোসল অবস্থায় কুরআনের কোনো আয়াতের শুধু অর্থ এবং কোন সুরার কোন আয়াত এটা লেখে তাহলে কী গুনাহগার হবে?

২)একইভাবে যদি কুরআনের আয়াতের শুধু বাংলা অর্থ কোন লোক ফরজ গোসল অবস্থায় পড়ে বা মুখস্ত করে তাহলে কী হারাম হবে?

৩)ফরজ গোসল অবস্থায় হাদিস পড়া যাবে কী?

1 Answer

0 votes
by (573,420 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।
 {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}

عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}

 قال ابن عبد البر في الاستذكار (8/10): ((أجمع فقهاء الأمصار الذين تدور عليهم الفتوى وعلى أصحابهم بأن المصحف لا يمسه إلا طاهر

আল্লামা ইবনে আব্দিল বার রহঃ বলেনঃ সমগ্র পৃথিবীর সকল ফক্বীহগণ ও তাদের অনুসারীগণ একমত এবং এর উপরই সকলে ফাতওয়া প্রদান করে থাকেন যে, কুরআনে কারীম পবিত্র হওয়া ছাড়া স্পর্শ করা জায়েজ নেই। {আল ইসতিজকার-১০/৮}

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জানাবত (গোসল ফরজ থাকা) অবস্থায় কুরআনের আয়াতের বাংলা অনুবাদ লেখা যাবে।

কোনো লোক যদি জানাবত (গোসল ফরজ থাকা) অবস্থায় কুরআনের কোনো আয়াতের শুধু অর্থ এবং কোন সুরার কোন আয়াত এটা লেখে তাহলে সে গুনাহগার হবেনা।

(০২)
যদি কোনো ব্যাক্তি জানাবত (গোসল ফরজ থাকা) অবস্থায় কুরআনের আয়াতের শুধু বাংলা অর্থ পড়ে বা মুখস্ত করে তাহলে তাহা নাজায়েজ হবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
জানাবত (গোসল ফরজ থাকা) অবস্থায় হাদীস পড়া যাবে।
তবে হাদীসের মধ্যে যদি কুরআনের আয়াত আসে,সেক্ষেত্রে সেই আয়াতের অংশটুকু পড়া যাবেনা। হাদীস পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...