হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَعَنَ اللَّهُ قَوْمًا اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ " .
আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ লোকদের উপর আল্লাহর অতিসম্পাৎ দিয়েছেন, যারা তাদের নাবীদের (নবীদের) কবর সমূহকে মসজিদরূপে বানিয়ে নিয়েছে।
(সুনানে নাসায়ী ২০৫০)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَرَأْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করো না এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছানো হবে।
(আবু দাউদ ২০৪২)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়ত সম্মত পন্থায় বুযুর্গদের মাযার জিয়ারত জায়েজ আছে।
তবে শুধু তা যিয়ারতের জন্য কোনো জায়গায় সফর করা যাবেনা।
কোনো কাজে কোনো জায়গায় গেলে শরীয়ত সম্মত পন্থায় যিয়ারত করতে পারে,এটাই অধিকাংশদের মত।
কবর যিয়ারতের সুন্নত তরীকা হচ্ছে কবরের কাছে গিয়ে সালাম দিবে।
এরপর কবরকে পিছনে রেখে কিবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে নিজের জন্য এবং কবরবাসীর জন্য মাগফিরাতের দুআ করবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
শরীয়তের বিধান হলো মাজারওয়ালা বা কবরবাসী, এমনকি ওলী-বুযুর্গ হয়ে থাকলেও তার কাছে কিছু চাওয়া শিরক। কেননা, দুআ ও সাহায্য প্রার্থনা শুধু আল্লাহ তাআলার কাছেই করা যায়। দুআ একটি ইবাদত। আর সমস্ত ইবাদত আল্লাহর জন্য নির্ধারিত।
সূরা ফাতিহায় আছে-
اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُ.
আমরা আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই কাছে সাহায্য চাই। [সূরা ফাতেহা (১) : ৪]
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-
اَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ.
আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন, তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করবে। -সূরা ইউসুফ (১২) : ৪০
সূরা রা‘দে (আয়াত : ১৪)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
لَهٗ دَعْوَةُ الْحَقِّ وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ لَا یَسْتَجِیْبُوْنَ لَهُمْ بِشَیْءٍ اِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّیْهِ اِلَی الْمَآءِ لِیَبْلُغَ فَاهُ وَ مَا هُوَ بِبَالِغِهٖ وَ مَا دُعَآءُ الْكٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ.
এ আয়াতে বলা হয়েছে, সত্য প্রার্থনা সেটিই, যা আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য যে কারো কাছেই প্রার্থনা করা হোক তা বৃথা এবং তা কাফেরদেরই কাজ।
মাজারে গিয়ে দুআ করার ব্যাপারে হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাহ. বলেন-
كل من ذهب إلى بلدة أجمير أو قبر سالار مسعود، أو ما ضاهاها لأجل حاجة يطلبها فإنه آثم إثما أكبر من القتل والزنا، أليس مثله إلا مثل من كان يعبد المصنوعات أو مثل من كان يعبد اللات والعزى.
যারা আজমীর, সালার মাসউদ প্রমুখ বুযুর্গদের মাজারে গিয়ে স্বীয় উদ্দেশ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করে তারা হত্যা ও ব্যভিচারের চাইতে জঘন্য পাপ করে। তাদের উপমা হল ঐ মুশরিকদের ন্যায়, যারা স্বহস্তে বানানো মূর্তির পূজা করে এবং লাত উযযার পূজা করে। -তাফহীমাতে ইলাহিয়্যাহ ২/৪৯
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি মাহরাম পুরুষ এর সাথে ভারতে কোনো কাজের জন্য গিয়ে পতিমধ্যে আজমির শরীফে যান, সেখানে গিয়ে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আল্লাহর কাছে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহঃ এর মাগফিরাত কামনায় দোয়া চান,ছওয়াব পৌছান।
আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ মাফের দোয়া চান,আল্লাহর কাছে বৈধ কিছু চান,তাহলে এটি জায়েজ আছে।