ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/55461/
নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে,
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ভুলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সূরা মিলিয়ে
ফেললে তা মাকরূহ নয়। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে করলে মাকরূহে তানজিহী হবে। কারণ, এটি খেলাফে সুন্নত
পদ্ধতি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে করলেও এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না। বরং নামাজ সহীহ
হয়ে যাবে।
فى
الدر المختار- (وضم) أقصر (سورة) الخ (في الأوليين من الفرض) وهل يكره في
الأخريين؟ المختار لا
মর্মার্থ: চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ভুলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে
সূরা মিলানো মাকরূহ নয়।
https://ifatwa.info/48500/
নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার
সমূহের ধারাবাহিকতা (কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে কোনো কারণে যদি
উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না,
এবং নামাযকে দোহরাতেও হবে
না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩)
ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা
রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।
□ সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬
কারণে। যথা-
১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।
২) কোন রুকনকে আপন সময় বা
স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।
৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা
বারংবার আদায় করা।
৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন
করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।
৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।
৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে
দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن،
وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط
البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)
মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে
সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা, ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন
রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে
দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে
তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না
ইনশাআল্লাহ এবং এর কারণে সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। সুতরাং আপনি ভুলে প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে কোনো আয়াত পড়া শুরু করে ফেললে ঐ আয়াতটি শেষ করেই থেমে যাবেন। একেবারে শব্দের
মাঝে থামার দরকার নেই।