ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা-
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে।
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অতঃপর এই মাকরুহ আবার দুই প্রকার যথা-
(১) গোনাহ উক্ত জিনিষের মূলের সাথে সংযুক্ত হবে, কোনো প্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের প্রয়োজনিয়তা পড়বে না। তাহলে এমন জিনিষ বিক্রয় করা বা ভাড়া দেওয়া মাকরুহে তাহরীমি হবে।
(২) অথবা সামান্য কিছু সংযোজন ও সংবর্ধনের পরই তাকে গোনাহের কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহলে এমতাবস্থায় সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে।
যদি কারো জানা না থাকে যে, ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে ব্যাংক তৈরী করবে, তাহলে সেটা জায়েয হবে। কিন্তু জানা থাকলে, মাকরুহে তানযিহি হবে।
মাকরুহে তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে?
যদি দেখা যায় মালিক বিল্ডিং তৈরীর সময় ব্যাংকের মত করেই তৈরী করেছে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হবে।তবে যদি সে এমনভাবে তৈরী করে যে, উক্ত ঘরকে যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে, তাহলে তখন তখন সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে। সেটা তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে? সেটা নিয়ে অবশ্যই সংশয় রয়ে গেছে।(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/৫১৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মামার জন্য এসব মুর্তি বিক্রয় করা নাজায়েয ও হারাম। তবে এজন্য উনার ঈমান চলে যাবে না যদি উনি অন্তর দ্বারা মুর্তিকে ঘৃণা করে থাকেন।