(a)
সাধারণত সরকারী চাকুরী জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) আরো জানুন-১৭৪৫
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সরকারী হালাল চাকুরীতে জয়েন্ট হতে পারবেন।সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকবেন।নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করবেন।
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
নিজে উপার্জন করা নিয়ে হাদীসে এসেছে,
হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন।(মিশকাত-২৭৫৯)
হারাম থেকে বেঁচে থেকে বৈধ বিষয়ের যেকোনো প্রকার চাকুরী করা জায়েয ও বৈধ রয়েছে।সে হিসেবে সরকারী চাকুরী, সেনাবাহিনীতে, কাস্টমস, bcs exam চাকুরী করা জায়েয।
(b)ব্যাংকের সুদী সেক্টরে চাকুরী হারাম এবং মদের দোকানে চাকুরী করা হারাম,ইত্যাদি।
(c)স্কলারশিপে ব্যংকের সুদ কিভাবে ব্যবহার হয়।বিষয় ব্যখ্যা করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
(d)মানুষকে মজা করে ছোট করা যাবে না।কাউকে ছোট করে কথা বলা নাজায়েয ও হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
"মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।"(সূরা হুজুরাত-১১)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
(e)
কারো অন্তরে কষ্ট দেয়া নাজায়েয ও কবিরা গোনাহ।যেহেতু ঐ ব্যক্তি এক্ষেত্রে কষ্ট পাচ্ছে না,তাই গোনাহ হবে না।তবে এমনটা করা সর্বদাই অনুচিত বিবেচিত হবে।
(f)মু'মিন হিসেবে আপনার জন্য উচিৎ,কারো মজা করে ছোট করার জবাবে তাকে ছোট না করা।বরং তাকে উৎসাহমূলক উত্তম ও ভালো কথা শুনানো।
(g)তাহলে নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।যতজন দেখবেন,এবং ভিডিওর কথা জানবেন,তারা সবাই তাদের উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়বেন।
(h)
যদি কোনো কোনো মাসবুকের অজু ছুটে যায়, তাহলে সে অজু করে এসে প্রথমে বিনা কিরাতে লাহেকের মত নামায আদায় করে তার পর ইমামের সাথে নামাযে শরীক হয়ে পরবর্তীতে মাসবুকের নামায তথা কিরাত সহ নামায আদায় করবে।
«رَجُلٌ سُبِقَ بِرَكْعَةٍ فِي صَلَاةٍ هِيَ مِنْ ذَوَاتِ الْأَرْبَعِ وَنَامَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي الثَّلَاثِ الْبَاقِيَةِ ثُمَّ انْتَبَهَ يَأْتِي بِمَا عَلَيْهِ فِي حَالِ نَوْمِهِ وَلَا يَقْرَأُ فِيهَا ثُمَّ يَقْعُدُ مُتَابَعَةً لِلْإِمَامِ ثُمَّ يَقُومُ وَيُصَلِّي رَكْعَةً بِقِرَاءَةٍ وَيَقْعُدُ وَيُتِمُّ صَلَاتَهُ.» - «الفتاوى الهندية» (1/ 93)