আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
935 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বিয়ের সময় অনেকগুলো উপহার দিয়ে উনাকে পাঠিয়েছেন আলী (রা) এর ঘরে? আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বা ইমাম আবু হানিফা(রা) কি বলেছেন যে নিজেদের মেয়েদেরকে খালি হাতে না পাঠাতে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নে উল্লেখিত,
(১)ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বিয়ের সময় অনেকগুলো উপহার দিয়ে উনাকে পাঠিয়েছেন আলী (রা) এর ঘরে
(২) আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বা ইমাম আবু হানিফা(রা) কি বলেছেন যে নিজেদের মেয়েদেরকে খালি হাতে না পাঠাতে

উক্ত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নাই।

ফাতেমা রাযি এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
হজরত ফাতেমা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.)-এর আদরের কন্যা। তিনি মুসলিম নারী সমাজের অনুপম উদাহরণ। তার যাপিত জীবন সব মুসলিম নারীর জন্য অনুসরণীয় আদর্শ। মহানবী (সা.) তার সম্পর্কে বলেছেন, ফাতেমা জান্নাতী মহিলাগণের সরদার। ১১ হিজরির ৩ জমাদিউস সানি তারিখে হজরত ফাতেমা (রা.) ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। হজরত ফাতেমা (রা.) প্রিয় নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের মাত্র ৭৫ দিন পর ইন্তেকাল করেন। 

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুকালে হজরত ফাতেমা (রা.) কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, ‘আমার পরে আমার বংশ থেকে তুমিই সর্বপ্রথম আমার কাছে আসবে (তথা দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে)।’ –বোখারি শরীফ 

খোদাভীরুতা, আত্মত্যাগ, বাগ্মিতা ও সাহিত্য-প্রতিভাসহ সমস্ত মানবীয় মহৎ গুণে পূর্ণতার অধিকারী এই মহীয়সী নারীর আলোকোজ্জ্বল অস্তিত্ব কেবল নারী জাতি নয় গোটা মানব জাতির জন্যই চিরন্তন গৌরবের উৎস। অপরিসীম গুণের আধার হজরত ফাতেমা (রা.) পূর্ণ বয়সে উপনীত হলে বহু স্বনামধন্য সাহাবি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মহানবী (সা.) এর চাচাতো ভাই হজরত আলীর সঙ্গে দ্বিতীয় হিজরিতে হজরত ফাতেমার বিয়ে দেন। বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর ৫ মাস।এই বিয়েতে মোহর ছিল মাত্র চারশ’ আশি দেরহাম। হজরত আলী (রা.) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন। 

হজরত ফাতেমা (রা.)-এর গর্ভে হজরত হাসান, হজরত হোসাইন ও মহসিন নামে হজরত আলীর তিন পুত্রসন্তান এবং জয়নাব ও উম্মে কুলসুম নামে দু’টি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করেন। মহসিন (রা.) বাল্যকালেই ইন্তেকাল করেন। হজরত হাসান ও হোসাইন (রা.)-এর বংশধররা সৈয়দ নামে পরিচিত ছিল। তাদের জীবনালেখ্য সম্পর্কে কমবেশি সবাই অবগত। 

হজরত ফাতেমা (রা.) কে পিতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বিয়ের সময় সংসারের জন্য দিয়েছিলেন, একটি চাদর, খেজুর গাছের ছালেভরা একটি বালিশ, একটি চামড়ার গদি, একটি দড়ির খাট, একটি মোশক (চামড়ার তৈরী পাত্র) এবং একটি আটার পিষার চাক্কি।’ -তবকাতে ইবনে সাদ হজরত

ফাতেমাকে আল্লাহর রাসূল (সা.) অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি বলেছিলেন, ফাতেমা আমার একটি টুকরো। সে যাতে খুশি হয়, আমিও তাতে খুশি হই। সে যাতে কষ্ট পায়, আমিও তাতে কষ্ট পাই। নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের সময় হজরত ফাতেমা (রা.) ছিলেন আল্লাহর রাসূলের (সা.) একমাত্র জীবিত সন্তান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...