আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
738 views
in সাওম (Fasting) by (63 points)
এই হাদীস টা মানুষ ফেসবুকে দিয়ে বলে শেয়ার দিতে।এটা কি সঠিক?? হাদীস টা কি সঠিক? এমন কোনো হাদীস আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

বহু হাদীসের কিতাব তালাশ করে, অসংখ্য কিবাতের ভান্ডার মাকতাবায়ে শামেলা তালাশ করে, ইন্টার্নেটে হাদীসের বিভিন্ন ওয়েব তালাশ করেও এধরনের হাদীসের অস্তিত্ব মিলে নি ৷ তাই উক্ত কথাটি যাচাই না করে হাদীস হিসেবে প্রচার করা চরম গর্হিত ও জঘন্নতম কাজের শামিল ৷ তাই তা প্রচার করা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য ৷ কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমি যা বলিনি সেই কথা যে আমার নামে বলবে তার আবাস্থল হবে জাহান্নাম।(সহিহ বোখারী ১/৫২)

অন্য হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্নিত রাসূল সঃ বলেছেন, যা শুনে তা'ই বলতে থাকা কোন ব্যক্তি মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ৷(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯৯২)

সুতরাং এ বার্তার কোনো ভিত্তি নেই। বরং এমন বার্তার আদান-প্রদান নিষিদ্ধ। কেননা, এমন বার্তা প্রচারের মাধ্যমে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর মিথ্যারোপ করা হচ্ছে। অার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার কত ভয়াবহ শাস্তি তা অনেক মুসলমানেরই অজানা।

বিশুদ্ধ হাদীস শরিফে এসেছে- قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كذب علي متعمدا فاليتبوؤ مقعده من النار

অর্থ: রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি অামার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার করলো, সে যেন পরকালে জাহান্নামকেই তার ঠিকানা বানিয়ে নিলো।

(অাবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং-৩৬৫১, ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদীস নং-৩০, তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-২৬৬১, নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং-৫৯১৫, বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১০৬, মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪)

তবে রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো দোষণীয় কোনো বিষয় নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের রমজানের আগমন উপলক্ষে সুসংবাদ দিতেন এবং তাদের উত্তম আমলসমূহের জন্য প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করতেন।

এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হজরত সালমান ফারসি রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শাবান মাসের শেষ দিনে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন।

ওই ভাষণে তিনি বলেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদের ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বরকতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার একটি রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসের সিয়ামকে ফরজ করেছেন আর নফল করে দিয়েছেন এ মাসে রাতের কিয়ামকে।

যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ সম্পাদন করল। এ মাস সবরের (ধৈর্যের) মাস; সবরের সওয়াব জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার। এ এমন এক মাস যাতে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়।(সংগৃহিত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...