আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমার পরিচিত একজনের শিক্ষক তার সপ্নে দেখা কিছু ঘটনার ব্যখ্যা জানতে চেয়েছেন।নিম্নক্তো সপ্নগুলোর ব্যাখ্যা কি এবং ভালো না মন্দ কোনো ইঙ্গিত আছে কিনা তা জানালে মুনাসিব হতো ইংশা-আল্ল-হ।
সেই স্যারের সপ্ন তার দেওয়া মেসেজ অনুযায়ী কিচুটা গুছিয়ে লিখে দেওয়ার চেষ্টা করেছি

 রাতে ঘুমের মাঝে দেখি অনেক লোকের মাঝে আছি হটাৎ। পরিবেশটা ছিলো সুবহে সাদিকে যেমন আলো অন্ধকার থাকে।খুব লোকের ভির এমন ভিরের মধ্যে আমি সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। পিছন থেকে কেউ একজন বলে তুমি সামনে যাও একদম সামনে।ভিরের সব লোক ছিলো সুঠাম দেহি আর সবাই আমাকে ঘিরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আমি সবার সামনে যাই আর আমার দুইপাশে দুইজন লোক ছিলো যাদের চেহাটা আমার স্পষ্ট মনে আছে যারা মনেহয়নি এই সময়ের কোনো মানুষ। এরপর আমি ঐদুজনের সাথে একটা মাথার উপর অনেক বড় কাপড় নিয়ে চলতেছি।এরমধ্যে পিছন থেকে সামনে যে মানুষ টি যেতে বলেছিলো তার চেহারা আমি কোনো ভাবেই ভুলতে পারছিনা।সপ্নে দেখাট পরেও তখন পর্যন্ত আমার সারাদিন ধুকপুকানি কমতেছিলোনা। কেও একজন ঞখান থেকে বলে দিলো সে ছিলো আমাদের কলিজার টুকরা আমাদের শেষ পয়গম্বর রহমাতুল্লিল আলামীন। সে ছিলো সুঠাম দেহি,গায়ের রং হলুদ ফর্সা,মাথায় ছিলো একটা পাগরি যেইটা মুখ এবং গলায় জরিয়ে ছিলো,লম্বা ছিলো তবে দেখে যতটুক মনেহইছে ৫" ১০/৬ ফিটের কাছাকাছি হবে,অনেক লম্বা না,কালো দাড়ি ছিলো,দাড়ি পুরোটাই কালো ছিলো,মধ্যম যুবক বয়সি,গোফ ছিল ছোট একদম ক্লিন না,চোখগুলো ছিলো খুব বেশি বড় নয় গবে বড়র কাছাকাছি আর অন্যরকম মায়ায় ভরা ছিলো,ঠোঁট ছিলো হালকা প্রস্বস্ত গোলাপি রক্ত বর্ন চিকন না।শুধুমাত্র তার চেহারা মুবারক দেখা যাচ্ছিল।আমি এর আগেও এমন ধরনের সপ্ন দেকেছি তবে তখন তার মাথায় টুপি এবং বাবড়ি চুল ছিলো।

আরো একটা সপ্ন এটার আগে দেখেছি।
ঐটা ছিলো: আমি একা হেটে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে একজন মানুষের সাথে দেখা।সে কিছু না বলে আমাকে তার সাথে নিয়ে গেলো।এরপরে আরো চারজন মুরুব্বি লোক ছিলো যারা বয়স্ক ছিল।আর তাদের দাড়ি পাকা ছিলো।একসাথে তারা গোল হয়ে বসে ছিলো।আমাকে তাদের মাঝে নিয়ে বসালো।আর ঐ মানুষটি (যিনি আমাকে পথ থেকে নিয়ে এলেন সাথে) আমাদের জন্য খাসির মাংস রান্না করে এনে দিলো।আমরা একসাথে বসে খেলাম।এরপর যখন ফিরে আসবো তখন একজন বলে দিল আজ যে তোমাকে এ আমাদের খাওয়ালো তাকে চিনো না কি?এর মধ্যে একজন বললো উনি ছিলেন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এরপর আমি চলে আসি।উনার নাক ছিলো লম্বাটে কিন্তু একেবারে তীক্ষ্ণ না খারা ছিলো ছিদ্র গুলো সুষম।ঐখান থেকে আসার সময় এমন একটা জায়গায় আসি যেখানে একটা বস্তু দেখি যেইটা মনে হলো অনেক বড় একটা সাপের মাথা ছিলো অনেক বড় প্রায় কমপক্ষে ছড়ানো হবে ৩০/৪০ হাতের মতো।পরে মনেহলো দেখি ঐ জিনিসটা কি এইভাবে তার মাথায় চামড়া ধরে টান দিতেই পাতলা পর্দার মত অংশ ছিড়ে আসে আর সাথে সাথে ঘুমের মধ্যে অনুভব করি যে আমার বাম পাশে ঘারের রগের ভিতরে ছোট দুইটা এক আঙুলের মতো দুইটা সাপের বাচ্চা ঢুকে গেছে আমি হাত দিয়ে টেনে বের করি আর সাথে সাথে ঘুম ভেঙে যায়।

অনেক আগে হাইস্কুলে থাকতে আমি আরো একটি সপ্ন দেখেছিলাম এমন ছিলো অনেকটা যে আমি একটা গুহার উপর বসে আছি খুব আরাম অনুভব হচ্ছে খুব শান্তি অনুভব হচ্ছে তখন একটা লোক এসে বললো এটা হেরা গুহার উপর বসে আছো।
( সপ্নটা ভালেমতো এক্সপ্লেন করতে পারলামনা যে দেখেছে সে হয়তো গুছিয়ে বলতে পারবে)

এরপরে থেকে আমি মিথ্যা বলা ছেরে দেই।প্রয়োজনে কথা বলতামনা তাও মিথ্যা বলতামনা।ওয়াদা দিলে অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।নামাজ পড়ি।

আর উপরোক্ত প্রথম সপ্নটা বর্তমানের দেখা।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রশ্নে উল্লেখিত শিক্ষকের প্রতিঃ-
আপনার স্বপ্ন খুবই মুবারক স্বপ্ন। রাসূল সাঃ কে দেখেছেন মানে আপনার আমল সুন্দর। আপনি আরো বেশি বেশি সুন্নতের পাবন্দ হতে চেষ্টা করুন। বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে রাসূল সাঃ এর একজন সাচ্চা উম্মত ও প্রিয়ভাজনদের কাতারে শামিল করেই ইনশাআল্লাহ হাশর করাবেন।

বেশি বেশি দরূদ পাঠ এবং সুন্নতের পাবন্দি রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যান। কোন সুন্নতের প্রতি যেন অবহেলা না হয়। আল্লাহ তাআলা আপনার মঙ্গল করুন।
,
রাসূল সাঃ এর আকৃতি শয়তান ধারণ করতে পারে না। তাই স্বপ্নে রাসূল সাঃ দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে প্রবল ধারনা হলে, বুঝতে হবে রাসূল সাঃ কেই দেখছে। অন্য কাউকে নয়।

তবে কথা হল স্বপ্নে পরিদৃষ্ট রাসূল সাঃ এর আকৃতি ও অবস্থা সম্পর্কে। স্বপ্নে পরিদৃষ্ট আকৃতিও অবস্থান কি রাসূল সাঃ এর প্রকৃত আকৃতি ও অবস্থান? নাকি মিসালী তথা প্রতিচ্ছবিমূলক?

ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, স্বপ্নযোগে পরিদৃষ্ট রাসূল সাঃ এর চেহারার আকৃতি ও অবস্থান রাসূল সাঃ এর প্রকৃত চেহারা ও অবস্থান নয়। বরং এটি মিসালী তথা প্রতিচ্ছবিমূলক।

তাই স্বপ্নে রাসূল সাঃ এর আকৃতি ও অবস্থান দেখে একথা বলা যাবে না যে, স্বপ্নে যেমন দেখেছে হুবহু সেটাই রাসূল সাঃ এর আসল ও প্রকৃত চেহারা ও আকৃতি। বরং সেটি ছিল একটি প্রতিচ্ছবিমূলক আকৃতি।

তাই একাধিক ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর আকৃতি ও অবস্থান একাধিক ধরণের হতে পারে।

তবে যেহেতু শয়তান রাসূল সাঃ এর আকৃতি ধারণ করতে পারে না, তাই স্বপ্নে যদি ইয়াকিন হয় যে, পরিদৃষ্ট ব্যক্তি রাসূল সাঃ, তাহলে বিশ্বাস করে নিবে ব্যক্তি রাসূল সাঃ কেই দেখছে। তবে আকৃতিটা হুবহু রাসূল সাঃ এর হওয়া জরুরী নয়।

আরেকটি বিষয় হল, স্বপ্নে রাসূল সাঃ কে তেমন দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ব্যক্তির ঈমান ও আমলের অবস্থা হয়ে থাকে। যদি রাসূল সাঃ এর অবস্থা ভাল দেখে স্বপ্নে, তাহলে স্বপ্ন দেখাকারী ব্যক্তির ঈমান ও আমল ভাল হওয়ার দলীল এটা। আর যদি খারাপ অবস্থায় রাসূল সাঃ কে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে যে দেখছে তার ঈমান বা আমলে সমস্যা আছে।

তেমনি কেউ যদি রাসূল সাঃ কে সুন্দর অবয়বে দ্বীনী কাজ করতে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে লোকটির ঈমানী কাজে আগ্রহ আছে। এক কথায় রাসূল সাঃ কে যে অবস্থায় পরিদৃষ্ট করবে স্বপ্নে, নিজের ঈমান ও আমলের হালাত তেমনি মনে করে নিবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي 

হযতর আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
স্বপ্নে নবিজি সাঃ এর দেহ পিছনের দিক হতে দেখা বা তার ছায়া দেখাও মর্যাদা পূর্ণ বিষয়। 
আপনি দরুদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করবেন,সুন্নাতের উপর পূর্ণ আমল চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...