জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কসম ভেঙ্গে ফেলার কারনে আপনার কাফফারা আদায় করতে হবে।
আপনি যেহেতু একাধিকবার কসম করে পুনরায় ভেঙ্গে ফেলেছেন,
এক্ষেত্রে ফুক্বাহায়ে কেরাম থেকে দু’টি মত পাওয়া যায়। যথা-
১-প্রতিটি কসম ভঙ্গের জন্য একটি করে কাফফারা আদায় করা।
২-আগের কসমের কাফফারা আদায় না করে থাকলে একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে।
,
আপনি যদি সক্ষম হয়ে থাকেন, তাহলে অনুমান করে যতটি কসম ভঙ্গ করেছেন ততটি কাফফারা আদায় করে দিন। এটাই উত্তম ও অধিক সতর্কতা এতেই নিহিত রয়েছে।
আর যদি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন, তাহলে একটি কাফফারা আদায় করা যেতে পারে।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করার পর তাহা ভেঙ্গে ফেললে এক্ষেত্রে আপনাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করতে হবে।
এরকম কসম একাধিকবার ভেঙ্গে ফেললে এবং আগের কসমের কাফফারা আদায় না করে থাকলে, আপনি যদি সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে।
১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়াবেন বা বস্ত্র পরিধান করাবেন।
আপনার কাছে যেই পরিমান টাকা আছে,এটা দিয়ে ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাবার খাওয়ানো সম্ভব।
(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু মিসকিনদের খাওয়ানোর সক্ষমতা আছে,তাই রোযা রাখা যাবেনা।
(০৩)
সূদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই।
(০৪)
আপনি পুরুষ হয়ে থাকলে আযান হলে মসজিদে চলে এসে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করবেন।
আপনি যদি নারী হোন,সেক্ষেত্রে মোবাইলের app গুলোর মধ্যে নামাজের জন্য নির্ভরযোগ্য app থেকে আপনার জেলার সময়সূচি অনুযায়ী নামাজ আদায় করবেন।
এটিই উত্তম হবে।
(০৫)
তারা শরীয়তের শর্ত মাফিক রুকইয়াহ করবেনা।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৬)
৩ ঢোকে পানি পানি পান করবেন।
(০৭)
৩ ঢোকে পানি পান করা সুন্নাত।
তবে এক্ষেত্রে গ্লাসের মধ্যে নিঃশাস ছাড়া যাবেনা।
(০৮)
আশা করি দ্রুত আপনার বিবাহ হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৯)
না,সেই আশংকা নেই,ইনশাআল্লাহ।
তবে সতর্কতা কাম্য।
(১০)
অনিচ্ছায় চোখ চলে যাওয়ার পর এক্ষেত্রে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে আনতে হবে।
সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে না আনলে গুনাহ হবে।
(১১)
সেক্ষেত্রে আবার পড়তে হবেনা।