জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(a.b)
প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ
নামাজে চাই তাহা ফরজ নামাজ হোক,বা নফল নামাজ হোক, যদি আল্লাহর ভয়, কবরের আযাব, জাহান্নামের শাস্তি, মৃত্যু যন্ত্রণা, আখিরাতের ভয়াবহ দৃশ্য ইত্যাদি স্মরণ করে অথবা কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন শাস্তির হুমকি ও করুণ পরিণতির কথায় প্রভাবিত হয়ে অনিচ্ছায় যদি কেউ কান্না করে তাহলে তা জায়েজ আছে।
যদি ব্যাথা বা কষ্টের কারনে অনিচ্ছায় কান্না চলে আসে,তাহলেও তা জায়েজ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০২)
,
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ وَهُوَ يُصَلِّىْ وَلِجَوْفِه أَزِيْزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَلِ يَعْنِىْ: يَبْكِىْ
মুত্বররিফ ইবনে ‘আবদুল্লাহ ইবনে শিখখীর (রহঃ) নিজের পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি সলাত আদায় করছিলেন এবং তাঁর ভিতর ডেগের ফুটন্ত পানির মত আওয়াজ হচ্ছিল। অর্থাৎ তিনি কান্নাকাটি করছিলেন।
অন্য এক হাদীসে এই বর্ণনা কিছুটা ভিন্ন শব্দে এসেছেঃ
عن مطرف عن أبیہ قال: رأیت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یصلي، وفي صدرہ أزیز کأزیز الرحی من البکاء۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۳۰ رقم: ۹۰۴، سنن النسائي ۱؍۱۳۵ رقم: ۱۲۱۰، الأحادیث المنتخبۃ ۱۲۷ رقم: ۴۲۹)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,নামাজে জাহান্নাম,কবরের আযাব থেকে পানাহ চাওয়া সংক্রান্ত হাদীস এসেছে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَقَالَ " نَعَمْ عَذَابُ الْقَبْرِ حَقٌّ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةً بَعْدُ إِلاَّ تَعَوَّذَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
হাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কবরের আযাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, হ্যাঁ! কবরের আযাব সত্য, আয়িশা (রাঃ) বলেন, এরপর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন কোন সালাত আদায় করতে দেখিনি যাতে তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ না চেয়েছেন।
সহিহ, আস-সহিহাহ ১৩৭৭, বুখারি হাঃ ১৩৭২ নাসায়ী ১৩১১)
,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ عَلَىَّ عَجُوزَتَانِ مِنْ عُجُزِ يَهُودِ الْمَدِينَةِ فَقَالَتَا إِنَّ أَهْلَ الْقُبُورِ يُعَذَّبُونَ فِي قُبُورِهِمْ . فَكَذَّبْتُهُمَا وَلَمْ أَنْعَمْ أَنْ أُصَدِّقَهُمَا فَخَرَجَتَا وَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَجُوزَتَيْنِ مِنْ عُجُزِ يَهُودِ الْمَدِينَةِ قَالَتَا إِنَّ أَهْلَ الْقُبُورِ يُعَذَّبُونَ فِي قُبُورِهِمْ . قَالَ " صَدَقَتَا إِنَّهُمْ يُعَذَّبُونَ عَذَابًا تَسْمَعُهُ الْبَهَائِمُ كُلُّهَا " . فَمَا رَأَيْتُهُ صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ تَعَوَّذَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
মুহাম্মাদ ইবনু কুদামাহ (রহঃ) ... আয়িশা (বা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার ইয়াহুদী বৃদ্ধাদের থেকে দুইজন বৃদ্ধা আমার কাছে আসল। তারা বলল যে, কবরবাসীরা নিজ নিজ কবরে আযাবের সমুখীন হবে। তখন আমি তাদের মিথ্যাবাদী মনে করলাম; সত্যবাদী মনে করতে চাইলাম না। তাই তারা বের হয়ে গেল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলে আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! মদীনার ইয়াহুদী বৃদ্ধাদের থেকে দুইজন বৃদ্ধা বললো যে, কবরবাসীগণ তাদের কবরে আযাবের সম্মুখীন হবে। তিনি বললেন যে, তারা সত্যই বলেছে; তারা কবরে এমন আযাবের সম্মুখীন হবে যে, তা সকল চতুষ্পদ জন্তু শুনতে পাবে। তারপর আমি তাকে এমন কোন সালাত আদায় করতে দেখিনি যাতে তিনি কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা না করতেন।
(নাসায়ী ২০৭১)
,
★ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন যে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ দরুদ শরীফ পড়ার পর কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা জাহান্নাম কবরের আযাব থেকে পানাহ চাওয়া মুস্তাহাব।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
روى مسلم ( 588 ) عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : ( إِذَا تَشَهَّدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ أَرْبَعٍ ، يَقُولُ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ) .
সারমর্মঃ রাসুল সাঃ বলেন যখন তোমরা তাশাহুদ পাঠ করবে,তখন আল্লাহর চার জিনিস থেকে পানাহ চাইবে।
বলবে, اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ) .
وفي رواية عند مسلم ( 590 ) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَلِّمُهُمْ هَذَا الدُّعَاءَ كَمَا يُعَلِّمُهُمُ السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ : ( قُولُوا : اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ) .
সারমর্মঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন রাসুল সাঃ আমাদেরকে দোয়া শিখিয়েছেন اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ) .
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফরজ নফল সব নামাজেই জান্নাত জাহান্নামের জন্য কাঁদা যাবে।
সেজদায়, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ দরুদ শরীফ এর পর
কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা জাহান্নাম কবরেত আযাব থেকে পানাহ চাওয়া যাবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
ফরজ নামাজ এবং জামাআতের সাথে নামাজের মধ্যে তারগিবের আয়াতের উপর জান্নাত তলব করা, তারহিবের আয়াতের উপর জাহান্নাম থেকে পানাহ চাওয়া প্রমানীত নেই।
ইমাম মুক্তাদি সকলের জন্য একই বিধান।
তবে নফল নামাজে এর সুযোগ রয়েছে।
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 642 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
قال في الدر المختار: بل یستمع وینصت وإن قرأ الإمام آیة ترغیب أو تر ھیب أي في ثوابہ تعالی، أو ترھیب أي تخویف من عقابہ تعالی، فلا یسأل الأول ولا یستعیذ من الثاني قال في الفتح: لأن اللّہ تعالی وعدہ بالرحمة إذا استمع، ووعدہ حتم، وإجابة دعاء المتشاغل عنہ غیر مجزوم، و ماورد حمل علی النفل منفرداً (درمختار مع الشامی:2/266)
সারমর্মঃ ইমাম সাহেব জান্নাতের আয়াত পড়ার সময় কেহ জান্নাত চাইবেনা,জাহান্নামের আয়াত পড়লে কেহ জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবেনা।
বরং চুপ থাকবে।
নফল নামাজ একাকী পড়া অবস্থায় কিরাআতের মাঝে জাহান্নাম জান্নাতের আয়াত আসলেও পানাহ চাওয়া যাবে।
তবে বাংলায় বলা যাবেনা,কুরআন হাদীসের শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
(c)
নফল নামাযের শুরুতে রাকাত সংখ্যাও মাথায় আনা জরুরি নয়।
এমনিতেই নফলের নিয়তই যথেষ্ট।
وکفی مطلق نیة الصلاة وإن لم یقل: للہ، لنفل وراتبة وتراویح علی المعتمد؛ إذ تعیینھا بوقوعھا وقت الشروع، والتعیین أحوط، ولا بد من التعیین عند النیة……لفرض أنہ ظھر أو عصر…ولو الفرض قضاء……وواجب أنہ وتر أو نذر أو سجود تلاوة… دون تعیین عدد رکعاتہ لحصولھا ضمناً فلا یضر بالخطإ في عددھا وینوي المقتدي المتابعة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الصلاة، باب شروط الصلاة، ۲: ۹۴- ۹۸، ط مکتبة زکریا دیوبند)، ونیة استقبال القبلة لیست بشرط مطلقاً علی الراجح (المصدر السابق، ص: ۱۰۵)۔
সারমর্মঃ নফল নামাজের জন্য সাধারন নিয়তই যথেষ্ট,রাকাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা জরুরি নয়।
.
(d)
নফল নামাজে দুই রাকাতের নিয়ত করে চার রাকাত পড়া যাবে।
নফল নামাজে প্রত্যেক দুই রাকাত সয়ংসম্পুর্ণ হাইছিয়ত রাখে।
তাই কেহ যদি চার রাকাতের নিয়ত করে দুই রাকাত পড়েই সালাম ফিরায়,তাহলে অতিরিক্ত দুই রাকাতের কাজা নেই।
,
তবে যেহেতু সে চার রাকাতের নিয়ত করেছিলো,তাই আরো দুই রাকাত পড়ে নেওয়া উত্তম।
জরুরী নয়।
تبيين الحقائق وحاشية الشلبي – (1 / 174)
قَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ (وَقَضَى رَكْعَتَيْنِ لَوْ نَوَى أَرْبَعًا وَأَفْسَدَهُ بَعْدَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ أَوْ قَبْلَهُ) لِأَنَّ كُلَّ شَفْعٍ مِنْ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ صَلَاةٌ عَلَى حِدَةٍ وَالْقِيَامُ إلَى الثَّالِثَةِ بِمَنْزِلَةِ تَحْرِيمَةٍ مُبْتَدَأَةٍ فَيَلْزَمُهُ بِهِ فَفَسَادُهُ لَا يُوجِبُ فَسَادَ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ ؛ لِأَنَّهُ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَيَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الثَّانِي لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَإِنْ أَفْسَدَهُ قَبْلَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَلَا يَلْزَمُهُ الثَّانِي لِعَدَمِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأَرْبَعِ اعْتِبَارًا لِلشُّرُوعِ بِالنَّذْرِ وَلَوْ قَعَدَ فِي الْأَوَّلِ وَسَلَّمَ أَوْ تَكَلَّمَ لَا يَلْزَمُهُ شَيْءٌ لِأَنَّ الشَّفْعَ الْأَوَّلَ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَالثَّانِي لَمْ يَشْرَعْ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأُخْرَيَيْنِ لِأَنَّ نِيَّتَهُ قَارَنَتْ سَبَبَ الْوُجُوبِ فَيَلْزَمُهُ مَا نَوَى اعْتِبَارًا بِالنَّذْر.فقط
,
সারমর্মঃ ২য় শুফআ কাজা করার জরুরি নয়,কেননা সেই শুফআ শুরুই করা হয়নি।
তবে আবু ইউসুফ রহঃ এর নিকটে শেষ ২ রাকাত যাহা আদায় করেনি,তার কাজা আদায় করতে হবে।
,
(e)
যদি নিয়ত ছাড়া এমনিতেই নফলের নিয়তে শুরু করা হয়, তাহলে দুই বা চার যেকোনোটাই পড়তে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।