ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২) যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩) যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)ছেলের দ্বীনদ্বারীতা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে বা ছেলেকে সার্বিক দিক বিবেচনায় মেয়ের পছন্দ না হলে, উক্ত ছেলের প্রস্তাবকে গ্রহণ করা বা না করার অধিকার মেয়ের থাকবে। হ্যা, মাতাপিতার অভিজ্ঞতা যেহেতু বেশী, তাই মেয়ের উচিৎ মাতাপিতার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজের মতামত ব্যক্ত করা। এবং যথাসম্ভব মাতাপিতার পছন্দকে গ্রহণ করে নেওয়া।তবে মেয়েকে জোর করে কোথাও বিয়ে দেওয়া মাতাপিতার জন্য জায়েয হবে না।
"لا يجوز نكاح أحد على بالغة صحيحة العقل من أب أو سلطان بغير إذنها بكرا كانت أو ثيبا فإن فعل ذلك فالنكاح موقوف على إجازتها فإن أجازته؛ جاز، وإن ردته بطل، كذا في السراج الوهاج."
(الفتاوى الهندية، كتاب النكاح، الباب الرابع في الأولياء في النكاح، ج:1 / ص:287، ط:رشيدية)
(২)
যদি ছেলে দ্বীনদার হয়, কিন্তু হাইট/পেশা / চেহারা মেয়ের পছন্দ না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে মেয়েকে বিয়েতে রাজি হতে প্রেশার দেয়া উচিৎ হবে না।
(৩)
মেয়ের উচিৎ সর্বদা মাতাপিতার সিদ্ধান্তকে আপন করে নেয়ার চেষ্টা করা।
(৪)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক যে, পৃথিবীতে এই একটি রিশতা তথা মাতাপিতা কখনো কোনো সন্তানের অন্ধকার ভবিষ্যত চান না। হ্যা, কোনো কোনো মাতাপিতা দ্বীনদারিতার অভাবে বেদ্বীন পাত্র/পাত্রী বাঁচাই করে থাকেন। তখন সেক্ষেত্রে মাতাপিতার পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে না।