আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।  আফওয়ান কয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলার জন্য। খুব দ্রুত সব হচ্ছে। মানসিক চাপে আছি। প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি যদি অ্যাপ্রুভ করতেন কাইন্ডলি।
১. বাবা মা কে সন্তষ্ট না করলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যায়না। আমি মেয়ে। এখন একজন ছেলেকে আমার ভালো না লাগা স্বত্তেও বিয়ের জন্য জন্যে রাজি হতে জোর করলে আমি যদি রাজি না হই, তাহলে কী আমার গুনাহ হবে??
বি.দ্র.: ছেলের দ্বীনদ্বারীতা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। কিন্তু আব্বুরা যদি বলে এখন থেকে ঠিক হয়ে যাবে এরকম কথা নিবে ছেলের থেকে। তাহলে আমার রাজি হওয়া উচিত?

২. যদি ছেলে দ্বীনদার হয়, তবু হাইট/পেশা / চেহারা মেয়ের পছন্দ না হয়, তাহলেও কী মেয়েকে বিয়েতে রাজি হতে প্রেশার দেয়া যাবে??

৩. বাবা ,মা যদি‌ বলে তোমার এই রাজি না হওয়ার জন্য আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু হলে তুমি দায়ী। অনেক আশা ছিল। এই প্রতিদান দিচ্ছ, আমার কী করা উচিত??

৪. যদি বলে বিয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি বাবা মা যা করে তা মেনে নিয়ে তুমি আল্লাহর উপর ভরসা করো, বাবা-মা দোয়া করলে হ্যাপি হবে, বাবা-মা খারাপ চাইবেনা। আমার এক্ষেত্রে কী করা উচিত??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২) যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩) যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)ছেলের দ্বীনদ্বারীতা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে বা ছেলেকে সার্বিক দিক বিবেচনায় মেয়ের পছন্দ না হলে, উক্ত ছেলের প্রস্তাবকে গ্রহণ করা বা না করার অধিকার মেয়ের থাকবে। হ্যা, মাতাপিতার অভিজ্ঞতা যেহেতু বেশী, তাই মেয়ের উচিৎ মাতাপিতার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজের মতামত ব্যক্ত করা। এবং যথাসম্ভব মাতাপিতার পছন্দকে গ্রহণ করে নেওয়া।তবে মেয়েকে জোর করে কোথাও বিয়ে দেওয়া মাতাপিতার জন্য জায়েয হবে না।

"لا يجوز نكاح أحد على بالغة صحيحة العقل من أب أو سلطان بغير إذنها بكرا كانت أو ثيبا فإن فعل ذلك فالنكاح موقوف على إجازتها فإن أجازته؛ جاز، وإن ردته بطل، كذا في السراج الوهاج."
(الفتاوى الهندية، كتاب النكاح، الباب الرابع في الأولياء في النكاح، ج:1 / ص:287، ط:رشيدية)

(২)
যদি ছেলে দ্বীনদার হয়, কিন্তু হাইট/পেশা / চেহারা মেয়ের পছন্দ না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে মেয়েকে বিয়েতে রাজি হতে প্রেশার দেয়া উচিৎ হবে না।

(৩)
মেয়ের উচিৎ সর্বদা মাতাপিতার সিদ্ধান্তকে আপন করে নেয়ার চেষ্টা করা।

(৪)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক যে, পৃথিবীতে এই একটি রিশতা তথা মাতাপিতা কখনো কোনো সন্তানের অন্ধকার ভবিষ্যত চান না। হ্যা, কোনো কোনো মাতাপিতা দ্বীনদারিতার অভাবে বেদ্বীন পাত্র/পাত্রী বাঁচাই করে থাকেন। তখন সেক্ষেত্রে মাতাপিতার পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...