আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
রাসূল (সা.) রোদ ও ছায়ায় তথা শরীরের কিছু অংশ রোদে আর বাকি অংশ ছায়ায় এমনভাবে বসতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি আরো বলেছেনঃ এটি হচ্ছে শয়তানের বসা।

১. উপরের হাদিসটির ব্যাখ্যা জানতে চাই

২৷ অনেক সময় বিছানায়/ পড়ার টেলিবে জানালা / দরজা দিয়ে রোদ আসে। তখন দেওয়ালে বাধা পেয়ে আলো বেকে যায় ফলে কিছু অংশে আলো ও কিছু অংশে ছায়া থাকে৷ এক্ষেত্রে কি বসা যাবে না এমন জায়গায়??

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وعَنْ أَبِي عِيَاضٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ نَهٰـى أَنْ يُجْلَسَ بَيْنَ الضِّحِّ وَالظِّلِّ وَقَالَ مَجْلِسُ الشَّيْطَانِ 

আবূ ইয়ায কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোদ ও ছায়ার মাঝামাঝি স্থানে বসতে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, (রোদ ও ছায়ার মাঝে বসা হল) শয়তানের বৈঠক।

(মুসনাদে আহমাদ ১৫৪২১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪/২৭১, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৮৩৮)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الْفَيْء فقلص الظِّلُّ فَصَارَ بَعْضُهُ فِي الشَّمْسِ وَبَعْضُهُ فِي الظل فَليقمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ছায়ায় বসে, পরে তার উপর হতে ছায়া চলে যায় এবং এ অবস্থায় তার শরীরের কিছু অংশ রোদে এবং কিছু অংশ ছায়ায় থাকে, তবে সে যেন সেখান থেকে উঠে চলে যায়। 

(সহীহ : আবূ দাঊদ ৪৮২১, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৩৫, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৮৪, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬১৩২।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ব্যাখ্যাঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি (فَلْيَقُمْ فَإِنَّهٗ مَجْلِسُ الشَّيْطَانِ) রৌদ্র ছায়ায় বসা থেকে সে যেন উঠে যায়। কেননা এটা শয়তানের মাজলিস, এর ব্যাখ্যা হলো :

ক. মূলত এরূপ রৌদ্র ছায়ায় মিলন মোহনায় শয়তান আসর জমায়। তাই এখানে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। খ. এরূপ স্থানে বসতে শয়তান মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। গ. রৌদ্র ছায়ায় বসলে মানুষের শরীরে প্রাকৃতিক প্রভাব পড়বে যাতে তার মারাত্মক ব্যাধি হতে পারে। ঘ. এরূপ স্থানে বসলে দেহে দু’টি রং বা বর্ণের প্রতিফলন ঘটে যা কেবল শয়তানের স্বভাব। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

★অত্র হাদীসের ব্যাখ্যায় ডাক্তারগণ গবেষণা করে বের করেছেন, শরীরে কিছু অংশ রোদে আর কিছু অংশ ছায়ায় থাকলে, মানুষের দেহে ও মেজাজে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে। এতে কুষ্ঠরোগ, চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া মানসিক দিক দিয়ে মেজাজ খিটখিটে ও চঞ্চল হয়ে পড়ে, ফলে কোন ভালো কাজের উদ্যম থাকে না তাই এরূপ স্থানে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(০২)
এক্ষেত্রে সেখানে বসলে যদি শরীরের কিছু অংশে আলো ও কিছু অংশে ছায়া হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গায় না বসা উত্তম।
তবে সেখানে বসা নাজায়েজ নয়।

সেখানে বসলে কোনো গুনাহ হবেনা।
এখানে মূলত হাদীসে অনুত্তম বুঝানো হয়েছে। 

নাজায়েজ বুঝানো হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...