ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রথম কথা হল, কুরআনকে হাফসের রিওয়ায়াত ব্যতিত অন্যান্য রেওয়াতে তিলাওয়াত করা কি জায়েয? সেই প্রশ্নের জবাবে বলা যাবে যে, হ্যা, জায়েয। তবে জনসাধারণের সামনে প্রসিদ্ধ রিওয়ায়াত দ্বারাই তিলাওয়াত করা উচিৎ ও সর্বোত্তম। নতুবা ফিতনা সম্প্রসারিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। যে কোনো রেওয়াত দ্বারা নামায পড়লে, সেই নামায আদায় হবে।
وقراء ة القرآن بالقراء ة السبع والروایات کلہا جائزة، ولکنی أری ا لصواب أن لا یقرأ بالقراء ة العجیبة بالأمالات وبالروایات الغریبة -- ولا ینبغی للأئمة أن یعملوا العوام إلی ما فیہ نقصان دینہم ودنیاہم وحرمان ثوابہم فی عقابہم (الفتاوی التاتارخانیة: ۷۲/۲، رقم: ۱۷۸۳، زکریا) وکذا فی الدر المختار مع رد المحتار: /۲ ۲۶۲، زکریا، امداد الفتاوی: /۱ ۲۹۵- ۲۹۷، زکریا، احسن الفتاوی: ۸۱/۳،زکریا) ۔
দারুল ইফতা,দারুল উলূম দেওবন্দ কর্তৃক প্রকাশিত একটি ফাতাওয়া এক্ষেত্রে লক্ষণীয়-
Fatwa:36-39/sd=2/1439
عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ "
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে তার নেকী হবে। আর নেকী হয় দশ গুণ হিসাবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ।(সুনানু তিরমিযি-২৯১০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কুরআনে কারীমের প্রতিটি অক্ষরে তিলাওয়াতের সাথে সওয়াবকে সম্পৃক্ত করেছেন। তাই যতবারই তিলাওয়াত করা হবে, ততবারই সওয়াব পাওয়া যাবে। কোনো একটি আয়াতকে যদি একাধিকবার একাধিক রিওয়ায়াতে তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে একাধিকবার সওয়াব পাওয়া যাবে। সুতরাং একাধিকবার কুরআন খতম হিসেবেও বিবেচিত হবে।