আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।ধরেন একটা প্রশ্নের উত্তর  বা ফতোয়া ২ জন আলেম ২ রকম দিছে।তাহলে যে কোন একজনের টা মানলে বা আমল করলে কি গুনাহ হবে?শুধু এটা জানতে চাচ্ছি যে ওইরকম করলে কি গুণাহ হবে?মানে ২ জনই বড় আলেম।প্রশ্নকারী ধরেন ২। জনের কাছ থেকেই ফতোয়া নেই।প্রশ্নকারী যদি না জানে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল তাহলে সে যদি কোন একটা মেনে চলে তাহলে কি গুণাহ হবে?মানে  মনে করেন আপনাদের এইখানে প্রশ্ন করে একই প্রশ্ন ২ জন মুফতি সাহেব ২ রকম ফতোয়া দিয়েছে তখন যে কোন একটা মানলে কি গুণাহ হবে? কিছু মনে করিয়েন না শায়খ।জানার জন্য।দুই জনই ভাল জানেন।এতে কি গুনাহ হবে?

২।একটা ভিড়িও দেখে টেনশনে।জানি না ওনি মুফতি কিনা।ওনি বলেছেন"কেউ যদি শপথ করে সারাজীবন স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না বলে তখন চার মাস পর শপথ ভান্গলে হবে না এর পরের চার মাসের ভিতর আবার সহবাস না করলে নাকি তালাক হবে।এভাবে নাকি প্রতি চার মাসের ভিতর সহবাস করতে হবে"।কিন্তুু আপনি বলেছেন চার মাসের   ভেতর শপথ ভান্গলে এরপর বিদেশ গেলে ২ বছর পর আসলেও সমস্যা নাই।জানি না ওনি মুফতি নাকি। ওনার নামের আগে মাওলানা আছে।কেউ ধরেন আপনাদের কাছ থেকে ফতোয়া নেই সবসময়।তহ আপনাদের টা ফতোয়াটা মানতে চায় সে।এতে কি গুনাহ হবে আরকটা শুনছে বা জেনেছে তাই?মাওলানা ওটার ওয়াজ ও শুনে না এমনিতে সামনে আসছে তাই শুনছে।এতে কি সমস্যা হবে?

৩। ২ নং প্রশ্নের মত আমার স্বামী শপথ করেছে কিনা জানি না।মনে নেই আমি এমনিতে মাসআলা জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।আমাকে আমার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।এমন প্রশ্ন করায় আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৪।কোন মেয়েকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দেয়।স্ত্রী যদি অন্য জনকে বলে স্বামীকে তালাক দিয়ে দিছে বা দিছে বলে মিথ্যাশিকারোক্তি দেয়।তাহলে কি তালাক হয়ে যায়? স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বললে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন  কার ফতোয়াতে দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

(০২)
এই ফতোয়া মানা যাবেনা।

যেকোনো ভিডিও পেলেই যাচ্ছেতাই তাহা মানা যাবেনা।  
(০৩)
এমন প্রশ্ন করায় আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...