আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদজী।

আরবি হরফ খঁ,গইন,র এই হরফ গুলো আমাদের এলাকায় খাঁ,গাইন,রা পড়া হয়।এগুলোর কোন উচ্চারণ টি সঠিক?  খাঁ,গাইন,রা এগুলো পড়লে কি গোনাহ হবে?

2.উস্তাদ,আমার আব্বু-আম্মুর মধ্যে ডিভোর্স রয়েছে। আম্মুর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে সেখানে ৩ জন সন্তান আছে ছোট ছোট কিন্তু আর্থিক অবস্থা খুবই নাজোক। আম্মুর  জন্য অনেক কষ্ট লাগে।  আব্বু ও রিসেন্ট বিয়ে করেছে প্রায় ৩ বছর কিন্তু কোনো বেবি নেই।এহিসেবে আমিও উনার একমাত্্র মেয়ে।আব্বু এখন প্রবাসে আছেন।আমি এখন অনার্স ৩য় বর্ষে একটি মহিলা কলেজে পড়াশোনা করছি। ক্লাস করা হয়না বললেই চলে শুধু পরীক্ষাই দেয়া হয়।পর্দার জন্য পর্দাহীন পরিবেশে জব করার ইচ্ছে নেই পর্দা হবে না বলে।তবে দ্বীনি পরিবেশে সুযোগ পেলে করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ।
আমার প্রশ্ন

১.আমি এই অবস্থায় নিজে পর্দা ম্যাইনটেইন করে চলতে পারবো এমন জব সেক্টরে কি জব করতে পারবো? সেহেতু আমি ভিন্ন একটি পরিস্থিতিতে আছি।

* স্বামির সাথে পরিবারে বিষয় গুলো শেয়ার করলে কি গিবত হয়ে যায়?  যেমন সারা দিন কি হয়েছে না হয়েছে, কে কি বলেছল এসব  গল্পের চলেই বলা।

*উস্তাদ, আমাকে কেউ এমন একটি বিষয়ে জানতে চাইলো যার সঠিক উত্তর আমি দিতে পারিনা দিলে নিজের সমস্যা।আবার মিথ্যে ও বলা যাবেনা।এমন ক্ষত্্রে  যদি একটু গুরিয়ে উত্তর দেয়া হয় যাথে মিথ্যে ও হলোনা আবার সত্যও প্রকাশ হলোনা এমন করা ঠিক হবে কিনা।যেমন কেউ আমাকে জিগ্যেস করলো তোমার কাছে কি টাকা আছে? আমি উত্তর দিলাম না আমার হাতে টাকা নেই।মানে এখানে বিষয় টি হলো আমার হাতে নিয়ে বসা না হাতটা খালি টাকা নেই কিন্তু আমার লকারে আছে এবং এটি আমি অন্য জনের জন্য বরাদ্দ করে রেখেছি এটাও প্রকাশ করতে চাচ্ছিনা সমস্যা। তাই হাতে নেই বাহ্যিকভাবে হাতে নেই এই অর্থ মনে রেখে বলে দিলাম। এতে কি মিথ্যে বলা হবে?? বা ধোঁকা দেয়ার গোনাহ হবে? আমার সাথে একজন এমন করেছিলো আমি পরে কষ্ট পেয়েছিলাম যে আমাকে ধোকা এটা মনে করে।মানে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম একজনকে তুমি গান শুনেছো? বললেন না এটা আগে শুনেছিলাম।বিশ্বাস হলো কিন্তু পরে জানতে পারলাম আমি উনাকে জিগ্যেস করার আগে শুনেছিলেন উনি দ্বীনে ফিরার আগের শুনেছিলেন এটা নয়।যখন বুঝলাম তখন কষ্ট পেলাম ধোকা দিয়েছেন মনে করে।এমন করাটা সঠিক পরিস্থিতি অনুযায়ী করা যাবে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (676,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
"খঁ,গইন,র" এভাবে উচ্চারণ করা সঠিক।

তবে অনেক এলাকায় মানুষেরা যে খা,গাইন,রা বলে,তারাও সঠিক মাখরাজ থেকেই উচ্চারণ করে,আর তারাও কিন্তু কুরআন তিলাওয়াত করার সময় খা,গাইন,রা এভাবে উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করেনা,বরং তারাও সঠিক ভাবেই এগুলোর উচ্চারণ করে থাকে। 

(০২)
প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১. উপরোক্ত শর্ত মেনে আপনি জব করতে পারলে জব করতে পারবেন।

২. হ্যাঁ, এক্ষেত্রে অন্যের দোষ /মন্দ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

তবে কেহ যদি অন্যায় কাজ করে,আপনার স্বামী তাকে যেনো বুঝিয়ে অন্যায় কাজ হতে ফিরিয়ে আনে,এমন নিয়তে আপনি এসব কথা তাকে বলতে পারবেন।

উল্লেখ্য, আপনার স্বামী যদি অন্যায় কারীকে নসিহত করার ক্ষমতা/সাহস না রাখে,বা এমন হয় যে তাকে বললেও সে অন্যায় কারীকে নসিহত করবেনা,শুধু শুনেই যাবে,তাহলে তাকে এগুলো শুনানো জায়েজ হবেনা।

৩. বিশেষ প্রয়োজনে এভাবে কথা বলা যাবে।
এটিকে তাওরিয়া বলে।
তবে প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক এভাবে বলা জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 262 views
0 votes
1 answer 127 views
+1 vote
1 answer 114 views
...