وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
"খঁ,গইন,র" এভাবে উচ্চারণ করা সঠিক।
তবে অনেক এলাকায় মানুষেরা যে খা,গাইন,রা বলে,তারাও সঠিক মাখরাজ থেকেই উচ্চারণ করে,আর তারাও কিন্তু কুরআন তিলাওয়াত করার সময় খা,গাইন,রা এভাবে উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করেনা,বরং তারাও সঠিক ভাবেই এগুলোর উচ্চারণ করে থাকে।
(০২)
প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)
নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)
নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়।
যেমন,
– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)
১. উপরোক্ত শর্ত মেনে আপনি জব করতে পারলে জব করতে পারবেন।
২. হ্যাঁ, এক্ষেত্রে অন্যের দোষ /মন্দ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তবে কেহ যদি অন্যায় কাজ করে,আপনার স্বামী তাকে যেনো বুঝিয়ে অন্যায় কাজ হতে ফিরিয়ে আনে,এমন নিয়তে আপনি এসব কথা তাকে বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য, আপনার স্বামী যদি অন্যায় কারীকে নসিহত করার ক্ষমতা/সাহস না রাখে,বা এমন হয় যে তাকে বললেও সে অন্যায় কারীকে নসিহত করবেনা,শুধু শুনেই যাবে,তাহলে তাকে এগুলো শুনানো জায়েজ হবেনা।
৩. বিশেষ প্রয়োজনে এভাবে কথা বলা যাবে।