জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুরা মায়েদার ০১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَوۡفُوۡا بِالۡعُقُوۡدِ ۬ؕ
হে মুমিনগন! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ করবে।
) عُقُودٌ শব্দটি عقد শব্দের বহুবচন। এর শাব্দিক অর্থ বাঁধা, আবদ্ধ করা। চুক্তিতে যেহেতু দুই ব্যক্তি অথবা দুই দল আবদ্ধ হয়, এজন্য এটাকেও عقد বলা হয়েছে। এভাবে عقود এর অর্থ হয়- عهود অর্থাৎ চুক্তি ও অঙ্গীকার। [তাবারী]
বস্তুত: দুই পক্ষ যদি ভবিষ্যতে কোন কাজ করা অথবা না করার বাধ্য-বাধকতায় একমত হয়ে যায়, তবে তাকেই আমরা আমাদের পরিভাষায় চুক্তি বলে অভিহিত করে থাকি। অতএব, উপরোক্ত বাক্যের সারমর্ম এই যে, পারস্পরিক চুক্তি পূর্ণ করাকে জরুরী ও অপরিহার্য মনে কর। [আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস]
সুরা নিসার ২৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
আরো জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো শিক্ষক যদি অগ্রীম বেতন নিতে চান,আর শিক্ষার্থীরাও তাতে সন্তুষ্টি চিত্তে রাজি হয়,তাহলে সেটি জায়েজ আছে।
(০২)
এক্ষেত্রে পূর্ণ বেতন দিতে হবে।
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ».
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয।
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৭৮১)
,
শরীয়তের বিধান মতে ছুটির দিন গুলো কাজের দিনের হুকুমেই।
তাই সেই দিন গুলোর বেতন গ্রহন নাজায়েজ নয়।
তবে অসুস্থতা এবং এবং নিজ প্রয়োজনীয় ছুটির দিন গুলোর বেতনের বিষয় টি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়মের উপর নির্ভর করবে।
যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের এই জাতীয় কোনো নিয়ম না থাকে,তাহলে সমাজে,অন্যান্য জায়গায় এটা কিভাবে হয় বলে প্রসিদ্ধ আছে,সেই অনুযায়ী আমল হবে।
অন্যান্য জায়গায় যদি বেতন দেওয়া প্রসিদ্ধ হয়,তাহলে বেতন দিবে,অন্যথায় নয়।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়্যাহ ৬/৩৫১)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শিক্ষিকা যদি মিস দেয়,সেক্ষেত্রে তাদের মাঝে সেই দিন গুলোর বেতন দিতে হবে,মর্মে চুক্তি হলে সেই দিন গুলির বেতন দিতে হবে।
যদি তাদের মাঝে সেই দিন গুলোর বেতন দিতে হবেনা,মর্মে চুক্তি হয়,তাহলে সেই দিন গুলোর বেতন দিতে হবেনা।
আর যদি তাদের মাঝে এই বিষয়ে কোনো চুক্তি/আলোচনা না হয়,সেক্ষেত্রে
সেই সমাজে,অন্যান্য জায়গায় কি করা হয় বলে প্রসিদ্ধ আছে,সেই অনুযায়ী আমল হবে।
অন্যান্য জায়গায় যদি এই দিন গুলির বেতন দেওয়ার নিয়ম প্রসিদ্ধ হয়,তাহলে বেতন দিবে,অন্যথায় নয়।
(০৪)
নিয়ম অনুসারে আগামী মাসের 10 তারিখে তার পূর্ণ হাদিয়া কাউন্ট করতে হবে।
তবে তাদের যদি বিষয়টি লিখিত ভাবে নিয়ম আকারে থাকে বা শিক্ষক যদি স্টুডেন্টকে আগেই বলে দেয় যে আমার এখানে নিয়ম হলো ভাঙতি মাসে জয়েন হলে পুরো মাসের টাকা দিতে হবে,আর শিক্ষার্থী এতে রাজী থাকলে পূর্ণ মাসের বেতন দিতে হবে।
(০৫)
আগে থেকেই একাডেমির এটা লিখিত নিয়ম থাকলে বা তারা আগেই বিষয়টি বলে দিয়ে থাকলে তারা পূর্ণ বেতন নিতে পারবে।
নতুবা পারবেনা।
(০৬)
এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট সন্তুষ্টি চিত্তে রাজী হয়ে ভর্তি হলে তাহা জায়েজ হবে।
(০৭)
একই উত্তর হবে।
কোন 2/3 জন স্টুডেন্ট কোন কারনবশত বা অবহেলাবশত অনুপস্থিত থাকলেও যদি শিক্ষক উপস্থিত থাকেন ও নির্দিষ্ট নিয়মে ক্লাস নিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে সকলকে পূর্ণ টাকাই দিতে হবে।
(০৮)
এক্ষেত্রে শিক্ষক এক মাসের বেশি টাকা নিতে পারবেনা।
এক মাসের অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।