আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
১. যদি অনলাইন শপ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার নিকট শুধু নাম, ঠিকানা আর কত পিস পণ্য নিবে এটা জেনে নেয়। কোন অগ্রিম টাকা না নেয়। শুধু জেনে নেয় কতগুলো লাগবে কারণ একেবারে বেশি কিনে রাখলে তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরপর নিজের টাকায় পণ্য কিনে হস্তাগত করে, এরপর ক্রেতার থেকে অগ্রিম টাকা নেয়, ক্রেতার নিকট পূর্বোল্লিখিত যত পিস লাগবে তদানুসারে পাঠায় এটা কি নাজায়েজ লেনদেন পদ্ধতি?

২. পণ্যের স্টক শেষ, ইনবক্সে নক দিয়ে ক্রেতা বলল কেনার কথা, তাকে বলা হল স্টকে নাই, ক্রেতা নিজেই বলল আপনি অর্ডারটা নেন, যখন স্টকে আসবে তখন দিয়েন এটা কি জায়েজ হবে?
৩. ক্রেতাকে যদি বলাই হয় আমাদের স্টকে নাই, আমরা ছাপিয়ে কাল আপনাকে দেব, আপনি টাকা দিন, এভাবে ক্রেতার সন্তুষ্টিতেই যদি পণ্য হাতে না থাকাবস্থায় চুক্তি করি সেটা কি নাজায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (574,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن  ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهى عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৫৫, হাঃ ২১৩৫; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৫)

https://ifatwa.info/60300/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। হ্যা, আপনি কম্পানির নিয়ম তান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন যদি কম্পানি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

★আপনার নিকট পন্য থাকাবস্থায় অন্যর সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন। মাল ক্রয় করে কবজা করার পর অন্যত্র বিক্রয় করতে পারবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(০১) এক্ষেত্রে যদি প্রথমে শুধু এতটুকু শুনে যে তার কত পিস পন্য লাগবে,তারপর পন্য হস্তগত হওয়ার পর পন্যের দাম কত? টাকা অগ্রিম কবে দিবে? পন্যের মান কেমন হবে? পন্য কবে তার নিকট পাঠাবে? এসব বিষয় নিয়ে চুক্তি করে,সেক্ষেত্রে উক্ত চুক্তি বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

(০২) প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু পন্য হস্তগত হওয়ার আগেই বিক্রয় চুক্তি হচ্ছে,বিধায় তাহা জায়েজ নেই। 

(০৩) সেটা নাজায়েজ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...