আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (65 points)
assalamu 'alaikum

১,আব্বুম্মুর থেকে কোনো নির্দিষ্ট কাজে প্রয়োজনের অধিক টাকা নিলে তা কি হারামের মধ্যে পড়বে? মিথ্যা না বলে নিলে?

২,

আর যদি মিথ্যা বলার প্রয়োজন হয়? সেক্ষেত্রে? কাজ টাই হারাম হবে না এক্ষেত্রে উপার্জিত অর্থ ও হারাম হবে?

৩, কোনো কাজে যদি আপাত টাকা নেই আর পরে তা বেচে যায় সেক্ষেত্রে আব্বুম্মু না চাইলে ফেরত দিলে সমস্যা হবে কি?

৪, যাওয়া আসার ভাড়া বাবদ যে টাকা দেয় তা যদি বাচিয়ে জমান হয় তাতে কি বাবা মার অধিকার থাকবে না সন্তানের অধিকাদ থাকবে?

৫,একইভাবে স্ত্রীকে টাকা দিলে বাচিয়ে বা জমালে তাতে কি স্বামীর অধিকার থাকবে না স্ত্রীর?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে সেই কাজ শেষ হলে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। এক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া টাকা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

(০২)
মিথ্যা বলে টাকা নেয়া,তাহা খরচ করা কোনোটিই জায়েজ নেই।

(০৩)
এক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। বেঁচে যাওয়া টাকা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে ঐ টাকায় সন্তানের অধিকার থাকবে। 

(০৫)
সেই টাকায় শুধুমাত্র স্ত্রীর অধিকার থাকবে। 

তবে কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য টাকা দিলে কাজ শেষে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।
সেই টাকার অধিকার স্বামীর থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...