আস্সালামুআলাইকুম হুজুর অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।
১)পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ !? গুরুজনদের প্রতি সন্মান দেখাতে পা ছুঁয়ে সালাম করলে কি শিরক হবে !?
২)একজন ব্যাক্তি দিনের প্রায় ১৬/১৭ ঘন্টার মতো ল্যাপটপে কাজ করেন,৩/৪ ঘন্টা ঘুমান,তিনি একজন softwere engineer,এবং ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন,,এছাড়া তিনি অন্য কোনো কিছু করেন না ,কোনো নফল ইবাদাত করেন না ,তিনি উপার্জিত টাকা দিয়ে মা ,বাবা ,আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য করেন,,হজ ,যাকাত পালন করেন আমি জানতে চাই,,তার হিসাব কিরকম হবে হুজুর,দুনিয়াবী সফলতার জন্য কেউ যদি এতটা সময় দেন,,তবেকি আল্লাহ তার উপর নারাজ হবেন?
৩)হুজুর আমাদের বাসায় আগে প্রতিদিন নিয়মিত দিনের বেশিরভাগ সময় টিভি চলতো ,,আমি মাকে ,আর ছোট ভাইকে অনেক বুঝিয়েছি যে টিভি দেখা যাবেনা,,এখন টিভিটা পরে আছে ঠিকই,, কিন্তু ছোটভাই মোবাইলে গেইম খেলে ,কার্টুন দেখে,,আর আমার মা প্রতিদিন রাতে মোবাইলে CID দেখেন,,হুজুর আমার কানে যখন কথাগুলো আসে তখন আমারও দেখতে ইচ্ছে করে ,কৌতূহল জাগে মনের মধ্যে,,মা ভাইকে বললেও তারা গুরুত্ব দেয়না,,,এখন তাদেরকে এবং নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য কি করবো হুজুর !?
৪) হুজুর এখনতো বেশিরভাগ মানুষই লেবাসধারী দ্বীনদার,দ্বীনের নামে দুর্বলতার সুযোগ নেয়,আমি এমন কিছু মানুষকে দেখেছি যারা অনেক বেশি দ্বীনি কথা বলেন ,এবং নিজেদেরকে খুব দ্বীনদার বলে প্রদর্শন করেন ,,এরকম মানুষদের আমি ঘৃণা করি ,,আবার এমন মানুষ দেখেছি যারা অনেক বেশি দ্বীনদার কিন্তু কখনোই তা প্রকাশ করেন না,,হুজুর আমি যদি মনে মনে ভাবি যে জীবনে একজন প্রকৃত দ্বীনদার,আল্লাহভীরু,যে কঠোরভাবে মাহরাম মেনে চলেন,যার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ,প্রত্যেকটা নিঃশাস ফেলার আগে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়,যে আল্লাহর সব বিধান মেনে চলার চেষ্টা করেন, যার সাথে থাকলে আমি দুনিয়া আখিরাতে সফল হতে পারবো,যার সাথে থাকলে আমার জান্নাতে যাওয়া সহজ হবে এরকম কাওকে না পেলে সারাজীবন একই থাকবো,কোনোদিন বিয়েই করবোনা,,সারাজীবন একাই আল্লাহর পথে চলার চেষ্টা করবো,,তারপর মৃত্যুর পর বেহেস্তে আল্লাহর কাছে মনের মতো জীবনসঙ্গী চেয়ে নিবো অথবা তখনতো আর দরকারও হবেনা ,,তবেকি আমার গুনাহ হবে !?
৫) হুজুর বালেগা হবার পর থেকে আমার কত ওয়াক্ত সালাত কাজ হয়েছিল আমার ঠিক মনে নেই,পূর্বের প্রশ্নে আমি জানতে পেরেছিলাম যে অনুমান করে ধরে নিবো ১০০ ওয়াক্ত,,কিন্তু আমার যদি এর থেকেও বেশি কাযা সালাত থাকে, তাহলে তো আমাকে ওগুলোর হিসাব দিতে হবে মৃত্যুর পরে হুজুর,,আমি তাহলে কিভাবে বাঁচবো শাস্তি থেকে হুজুর,? আমি তো জানিনা ঠিক কত ওয়াক্তের সালাত কাযা হয়েছে,,অনুমানে যদি ভুল হয়!? তাহলে কোনো রিস্ক না নেওয়ার জন্য আমি কি করতে পারি হুজুর !?
৬)বিচ্ছেদের পর কি সন্তানের প্রয়োজনে তার বাবা,তার মায়ের সাথে কথা বলতে পারবে !? সরাসরি তালাক উচ্চারণ করা হয়নি ,তবে স্ত্রীকে অনেকবার চলে যেতে বলা হয়েছে রাগের মাথায় ঝগড়ার সময়ে ,,এবং স্ত্রীর পূর্বের ঘরের মেয়ে সন্তানের প্রতি খারাপ দৃষ্টিতে গায়ে স্পর্শ করা হয়েছিল,হুরমতের জন্য তো সম্ভবত তালাক হয়ে গিয়েছে,,মেয়ের মনে কোনো খারাপ চিন্তা আসেনি,সে প্রথমে বুঝতেও পারেনি যে তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে কাঁধে বা হাতে অথবা অন্য কোথাও স্পর্শ করা হচ্ছে ,পরে লোকটির কথাবলার ধরণে বুঝতে পারে যে লোকটি খারাপ উদ্দেশ্যে স্পর্শ করছে,,মেয়েটি বুঝতে পাড়ার সাথে সাথেই পালিয়ে অন্য রুমে চলে যায় , লোকটি সম্ভবত নেশা গ্রস্ত অবস্থায় ছিল,এমতাবস্তায় লোকটি জানেওনা যে তালাক হয়েছে ,তার দ্বীনের বুঝ নেই..লোকটির টাকা হারাম .এখন মেয়েটি যদি মাকে এবং দ্বিতীয় ঘরের ছোট ভাইটিকে নিজের সাথে অন্য কোথাও রাখে তবেকি ছেলের ভরণপোষণের জন্য টাকা নেওয়া যাবে !? স্ত্রী নিতে পারবেন !? মেয়েটির তো তেমন সামর্থ নেই তবে ভবিষ্যতে হতে পারে,মেয়েটির পড়াশুনা শেষ হয়নি ,এমন অবস্থায় নিজের এবং মা ভাইয়ের দায়িত্ব নেওয়া কষ্ট সাধ্য ,, কি করা উচিত হুজুর ,,আর কোনো পুরুষ নেই পরিবারে ,,