আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)

নামাজে ফরজ আদায়ে অয়থা তিন তজবি পরিমান সময় দেরী  করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়,এইটা জানার পরে থেকে বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য কিছু জিনিস জানা দরকার বিবেচনায় প্রশ্ন করছি আশা করি সাাহায্য পাবোা....

১. নামাজের  ভিন্ন তিন টি জায়গায় যদি কেও এক আয়াত করে করে রিপিট করে তবে কি তার ফরজ দেরী করার জন্য সাহু সিজদা আসবে?  যেমন : প্রথম নামাজে সুরা ফাতিহায় এক এবং সুরায় এক আয়াত , আবার পরের রাকাতে সুরা ফাতিহায় আবার এক আয়াত . 

২.  নাামাজের তিনটি ভিন্ন জায়গায় যদি এক আয়াত করে করে সময় নষ্ট করে তবে কি তার সব মিলিয়ে সাহু সিজদা আসবে ?না কি  এই ক্ষেত্রে এক সাথে তিন তসবিহ পরিমান সময় নষ্টকরা শর্ত। 

৩.কেও যদি কোনো নামাজে রুকু সিজদায় কোনো তসবিহ পাঠ করে না , শুধু কপাল লাগায় আর তোলে তার কি সেই নমাজ গুলোা দোহরাতে হবে? 

৪. একাকি নামজে কেও যদি রুকু  সিজদার তজবি না পাঠ করে শুধু রুকুতে তিন তজবি , বা সিজদায় তিন তজবি বা প্রতি রুকু সিজদায় এক তজবি পরিমাণ সময় তজবি পাঠ না করে বসে থাকে , এতে কি তা অযথা দেরী হিসাাব বিবেচনা করে সাহু সিজদা দিতে হবে ?

শায়েখ ইদানিং একটা সমস্যার মাঝে পরেছি ্ িএইটা কে কি ওসওযাসার মাঝে পরে নাকি না তা বুজতে পারছি না, ওসওয়াসা হলে তো এটা মাথা থেকে বাদ দিতে পারতাম ,ওসওয়সা বিবেচনা করে আশা করি আপনি সাহায্য করবেন 

৫. আজকে একটি বড় সংখ্যা লেখা শুরু করার সময় আমার মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে।  কিন্তু শুধু তালাকের ভাবনাই আসে না কি আমার বউকে উদ্দেশ্য করেই ভাবনা আসে তা বলতে পারছি না, তখন আমি লেখা না থামিয়ে সংখ্যাটি সম্পূর্ণ লিখে ফেলি, আমার কি এতে বিবাহে সমস্যা হবে?
. আমার তো আমার বউকে ত্যাগের কোনো ইচ্ছে ও নাই। তা সত্ত্বেও আমার মাথায় যদি তালাক শব্দ লিখা, বলা  বা বিভিন্ন সংখ্যা বলা বা লিখার সময় যদি আমার মনে মনে চলে আসে যে আমি আমার বউকে তালা*ের উদ্দেশ্য  করে এসব বলছি।(কিনতু আমার তো তেমন চাওয়া নাই) তাছাড়া মাঝে  মাঝে এসব তালাকরে  কথা /কল্পনা  মনে থাকা অবস্থায়ই আমি সংখ্যা গুলো বলি বা লিখি বা সেই শব্দ গুলৈা ও বলি(যেহেতু বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তা আমার বলতে হয়)  

এই গুলো কি ওসওয়াসা? এর ফলে কি  আমি বুঝাতে তবে কি বিবাহে সমস্যা হবে? অনেক সময় তো ইচ্ছে না চাইলেও মাথায় বা কল্পনায় চলে আসছে। এগুলো ওসওয়াসা ভেবে বাদ দেওয়ার মতো, না কি এসবের ফলে সমস্যা হবে . আমি টিক মতো বুঝাতে পারলাম কি না জানি না , আশা করি আপনি না বুঝলে জানাবেন , বা সিদ্ধান্ত দিবেন্।


জাজাকাল্লাহ ..

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।
(-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5939


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নামাজের ভিন্ন তিন টি জায়গায় যদি কেউ এক আয়াত করে করে রিপিট করে তবে তার ফরজ দেরী করার জন্য সাহু সিজদা আসবে না। নামাযের কোনো একটি রুকুনে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিশ্চুপ থাকলেই কেবল সাহু সিজদা আসবে। 

(২)  নাামাজের তিনটি ভিন্ন জায়গায় যদি এক আয়াত করে করে সময় নষ্ট করে, তবে তার সব মিলিয়ে সাহু সিজদা আসবে না।

(৩) কেউ যদি কোনো নামাজে রুকু সিজদায় কোনো তসবিহ পাঠ করে না , শুধু কপাল লাগায় আর তোলে তার সেই নমাজ গুলো দোহরাতে হবে না।

(৪) একাকি নামজে কেউ যদি রুকু সিজদার তাসবিহ না পাঠ করে শুধু রুকুতে তিন তাসবিহ , বা সিজদায় তিন তাসবিহ বা প্রতি রুকু সিজদায় এক তাসবিহ পরিমাণ সময় তাসবিহ পাঠ না করে বসে থাকে , 
এতে বিশুদ্ধ মাতানুযী সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
"(قَوْلُهُ: وَاعْلَمْ إلَخْ) قَالَ فِي الْمُنْيَةِ وَشَرْحِهَا الصَّغِيرِ: ثُمَّ الْأَصْلُ فِي التَّفَكُّرِ: أَنَّهُ إنْ مَنَعَهُ عَنْ أَدَاءِ رُكْنٍ كَقِرَاءَةِ آيَةٍ أَوْ ثَلَاثٍ أَوْ رُكُوعٍ أَوْ سُجُودٍ أَوْ عَنْ أَدَاءِ وَاجِبٍ كَالْقُعُودِ يَلْزَمُهُ السَّهْوُ؛ لِاسْتِلْزَامِ ذَلِكَ تَرْكَ الْوَاجِبِ وَهُوَ الْإِتْيَانُ بِالرُّكْنِ أَوْ الْوَاجِبِ فِي مَحَلِّهِ، وَإِنْ لَمْ يَمْنَعْهُ عَنْ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ بِأَنْ كَانَ يُؤَدِّي الْأَرْكَانَ وَيَتَفَكَّرُ لَايَلْزَمُهُ السَّهْوُ. وَقَالَ بَعْضُ الْمَشَايِخِ: إنْ مَنَعَهُ التَّفَكُّرُ عَنْ الْقِرَاءَةِ أَوْ عَنْ التَّسْبِيحِ يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَإِلَّا فَلَا، فَعَلَى هَذَا الْقَوْلِ لَوْ شَغَلَهُ عَنْ تَسْبِيحِ الرُّكُوعِ وَهُوَ رَاكِعٌ مَثَلًا يَلْزَمُهُ السُّجُودُ، وَعَلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ لَا يَلْزَمُهُ وَهُوَ الْأَصَحُّ اهـ (شامي، كتاب الصلوة، باب سحطجود السهو، ٢/ ٩٣)

(৫) বিবাহে সমস্যা হবে না।

(৬) এটা ওয়াসওয়া। বিস্তারি  জানতে ক্লিক করুন- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...