ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গোসল সর্বোমোট এগার প্রকার যথাঃ-
(ক)পাঁচ প্রকারের গোসল ফরয যেমন-(১)যৌনমিলন তথা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থান একত্রিত হওয়ার পর গোসল করা ফরয।(২)বীর্য বাহির হলে(যেকোনো কারণে) গোসল ফরয।(৩) স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয।(৪)হায়েযের কারণে গোসল ফরয(৫)নেফাসের পর গোসল ফরয।
(খ)চার প্রকার গোসল সুন্নত।(১)জুমুআর দিনের গোসল(২)আরাফার দিনের গোসল(৩)এহরামের গোসল(৪)দুই ঈদের গোসল
(গ)ওয়াজিব গোসল।মাইয়্যিতকে গোসল প্রদান করা।
(ঘ)মুস্তাহাব গোসল।কোনো কাফির যখন ইসলাম গ্রহণ করে,তখন গোসল করা মুস্তাহাব।(মাবসুত-সারখাসী-১/৯০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীর পবিত্র অবস্থায় গাফিলতি বা দুনিয়াবি কাজের কারণে ১২ টা ৩০ বেজে গেলে, এ অবস্থায়ও গোসল করে মসজিদে যাওয়া উচিত। ফযিলত পূর্ণ আ'মল হল, জুমুআর আযানের পূর্বে গোসল করে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করে তারপর মসজিদে যাওয়া। কখনো আর এমন করবেন না। -যেহেতু খুতবাহর আজানের পূর্বে না প্রথম আজানের পূর্বে মসজিদে যেতে হবে? তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে,তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ মতানুযায়ী প্রথম আযানের পূর্বেই মসজিদে যেতে হবে- তাই আপনি গোসল করে তারপর মসজিদে যাবেন।