জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেনঃ-
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾
কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,
ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না।
,
★সুতরাং পরীক্ষায় বর্ণনার জন্য যেকোনো কুফরী কথা/মিথ্যা গল্প লিখলে ঈমান চলে যাবেনা।
এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে।
,
তবে ইসলাম বিরোধী কোনো আকীদা পোষন করা জায়েজ হবেনা।
আরো জানুনঃ
যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত শর্তাবলী পুরোপুরি ভাবে মেনে আপনার জন্য অনার্স পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে পরীক্ষার দিন গুলোতে ওয়াক্তের শুরুতে জোহরের নামাজ আদায় করবেন।
আসরের ওয়াক্তের শেষের দিকে আসরের নামাজ আদায় করবেন ।
(০২)
তাদের সাথে মেশা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে বেদ্বীনের দিকে ফিরে যাওয়ার বা গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকলে তাদের সাথে মিশবেননা।
তবে দেখা হলে সালাম ও কুশল বিনিময় করবেন।
তাদেরকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিবেন।
(০৩)
তার সাথে দেখা করা যাবে।
প্রয়োজনে চলাফেরা করা যাবে।
তবে বিনা প্রয়োজনে বাহিরে তার সাথে এভাবে চলাফেরা না করারই পরামর্শ থাকবে।
(০৪)
আপনার গুনাহগার হচ্ছেন।
এক্ষেত্রে ২/১ দিন পর পর হলেও কমপক্ষে সালাম বিনিময় করতে হবে।
সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা।
মাঝে মাঝে ফোনে তার স্বাস্থ্যের খবর নিতে হবে। তার ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করতে হবে।
(০৫)
তাতে হারাম উপাদান না থাকলে তাহা কখনো কখনো ব্যবহার করা যাবে,এটি নাজায়েজ নয়।
তবে নারীদের মতো সাজসজ্জা করা যাবেনা।
(০৬)
প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত হলে ও প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত বেশি মূল্যের হলে তাহা বিলাসিতার অন্তর্ভুক্ত হবে।
(০৭)
আপনার স্বপ্ন খুবই মুবারক স্বপ্ন। রাসূল সাঃ কে দেখেছেন মানে আপনার আমল সুন্দর। আপনি আরো বেশি বেশি সুন্নতের পাবন্দ হতে চেষ্টা করুন। বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে রাসূল সাঃ এর একজন সাচ্চা উম্মত ও প্রিয়ভাজনদের কাতারে শামিল করেই ইনশাআল্লাহ হাশর করাবেন।
বেশি বেশি দরূদ পাঠ এবং সুন্নতের পাবন্দি রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যান। কোন সুন্নতের প্রতি যেন অবহেলা না হয়। আল্লাহ তাআলা আপনার মঙ্গল করুন।
,
রাসূল সাঃ এর আকৃতি শয়তান ধারণ করতে পারে না। তাই স্বপ্নে রাসূল সাঃ দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে প্রবল ধারনা হলে, বুঝতে হবে রাসূল সাঃ কেই দেখছে। অন্য কাউকে নয়।
আরো জানুনঃ-