ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মনিটাইজেশন করে ইনকাম সম্পর্কে উলামাদের মতপার্থক্য রয়েছে। মনিটাইজেশন ইনকাম সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে,এখানে হালাল-হারাম সকল প্রকার জিনিষের এড শো হতে পারে,এর সম্ভাবনা রয়েছে। বিধায় তাকওয়ার দাবী হলো,এমন ইনকাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইউটিউব বা ফেইসবুক মনিটাইজেশন হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। এবং যেখানে হালাম হারামের সন্দেহ চলে আসে, ঈমানের তাকাযা হল, এমন পেশা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। সুতরাং ঐ সাইটে লিখা দেওয়া থেকে বিরত থাকাই তাকওয়ার নিকটবর্তী এবং সর্বোত্তম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)