১।।....আমি আর আমার স্বামী দুজন দুই জায়গায় থাকি।।একদিন আমি আমার স্বামীকে আসতে বলেছিলাম সে আসে নি তাই আমার খুব খারাপ লেগেছি,,,পরে রাতে আমার স্বামী আমাকে মেসেজ দিয়ে বলতেছে আমার সাথে কি কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না? আমি কষ্ট পেয়ে বলেছিলাম তোমাকে আমার দরকার নেই,, এই কথাটা মূলত আমি কষ্ট পেয়ে বলেছি,,,তখন আমার আমার স্বামী বলে এই কথাটাও শুনতে হলো আমাকে তোমার দরকার নেই,,এটা আগে কেন বলনি,,তখন আমি বলছি এখন মনে হয়েছে তখন মনে হয় নি,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি আমার ডিরেক্ট বলে দিয়েছো আমায় চাও না তখন আমি বলছি হুম চায় না,,তখন আমার স্বামী বলে তোমার কাছে এই সম্পর্ক টা খেলা ছিল মাত্র তখন আমি বলছি হুম খেলা ছিল,,,সে এই কথাগুলো বলতেছে তাই আমি তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলেছিলাম এই কথাগুলো।।তারপর আমার স্বামী বলে তুমি কেন আমার জীবন টা নষ্ট করলে,,আমি আর কখনো তোমাকে বিরক্ত করবো না,যেহেতু তুমি আমায় চাও না বিশ্বাস করো এই মুখ তেমাকে আর দেখাবো না,,তখন আমি বললাম কই যাবা,,তখন আমার স্বামী বলে যেহেতু আত্মসম্মান নিয় বেঁচে থাকতে হবে তাই আর বেঁচে থাকবো না,,,আমি বললাম বেচে থাকবো না মানে নি,,তখন আমার স্বামী বলে আত্মহত্যা করবো,,আমি বললাম কি বলো এসব আত্মহত্যা মহাপাপ,,,তখন আমার স্বামী বলে জীবন একটা সম্পর্ক ও একটা,,যেহেতু সম্পর্ক টাই নেই তাহলে বেঁচে থেকে কি লাভ,,তখন আমি বার বার কল দিচ্ছি কল ধরে নি,,আমাকে বলতেছে কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই,,তখন আমি,বলি এগুলো আমার মনের কথা না,,একবার কল ধরো,,,,পরে আমার স্বামী বলে আমাকে তোমার দরকার নেই এই কথাটা শুনার,,আগে মরে গেলাম না কেন,,এতোটা ব্যক্তিত্বহীন হয়ে গেছি৷ আল্লাহ তুমি আমায় কেন এতোবড় সাজা দিলে কেউ আমাকে বলবে দরকার নেই,, এরকম ইমোশনাল আরো অনেক কথা বলেছে,,,তারপর আমি বলেছি তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো,,তখন আমার স্বামী বলে আমি যা বলি এক কথা বলি।।।তারপর আমি বললাম তোমাকে আমি খুব ভালেবাসি,,, প্লিজ কলটা ধরো,,,।।তখন আমার স্বামী বলে আমাকে কারো দরকার নাই এমন কেউ আমার সাথে থাকার দরকার নাই,,আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম যাও তুমি স্বাধীন,, আজ থেকে তেমার কাছে আমি মরে গেছি।।। your are freedom...
এসব কেনায়া বাক্য সম্পর্কে জানতাম না,,, পরে আমি আমার স্বামীকে জিঙ্গেস করেছি এগুলো কেন বলেছো,তখন আমি বললান আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম এসব বাক্যে বললে নাকি তালাক হয়,,তখন আমার স্বামী বলে এসব বলে কেউ তালাক দেয় নাকি,, তখন আমার স্বামী বলেছে তুমি চাকরী করো তোমার মতো স্বাধীন ভাবে চলতে পারবে,অন্য দশটা মেয়ের মতো এগুলে বুঝিয়েছি,,আমি বললাম তুমি তালাকের নিয়তে বলো নি,, তখন আমার স্বামী বলে তালাক কেন দিব,,বিয়ে করেছি কি তালাক দেওয়ার জন্য।।।।
২.।।।আরেক দিন আমি আমার স্বামীকে আসতে বলছিলাম কিন্তু সে আসেনি তাই আমার অনেক রাগ হয়েছিল কেন আসেনি সেজন্য অনেক ঝগড়া হয়েছে,তখন আমার স্বামী বলে তোমার মতো মেয়েকে কেন যে বিয়ে দিল,,তারপর আমি বললাম তোমার মতো ছেলেকে বিয়ে করে আমার আফসোস করতে হচ্ছে,, তখন আমার স্বামী বলে আফসোস করতে কে বলেছে ভালো দেখে চলে যাও,,,তারপর বলছে এতো তর্ক স্বামী সাথে করলে জাহান্নামী,,,আমি বলেছি যারা মেয়েদের সাথে রংঢং করে কথা বলে তারাও জাহান্নামী,,পাতানো বোন থেকে শুরু করে কোন কিছু বাদ দেন নি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি সীমা লঙ্ঘন করিও না,,,পরের অধ্যায় টা কিন্তু ভয়াবহ হবে,(((সে যখন """পরের অধ্যায় টা ভয়াবহ হবে""""" এ কথাটা বলেছে তখন আমার মনের মধ্যে ভয় হয়েছে যে সে কি তালাক এর কথা বলবে নাকি,, মনে মনে ভাবছি বললে বলুক,,, কিন্তু আমি তালাক চায় নি ))))তখন আমি বলেছি তার জন্য প্রস্তুত আছি,,,আমার স্বামী বলে জানি আমি,,পরে আমি বললাম লাইফে যে সুখ নেই বুঝে গেছি,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি এগুলো বলে বলে চলে যেতে চাও যাও, তুমি মুক্ত।।।।।আমি সাথে সাথেই জিঙ্গেস করেছি তুমি কি তালাক দিলে নাকি তখন সে আমার সাথে আর কোন কথাই বলে নি মোবাইল অফ করে দিয়েছে।।সকালে যখন কথা হয়েছে তখন বললাম তুমি তালাকের নিয়তে বলেছো।। তখন আমার স্বামী বলে আমি কখনোই তোমাকে তালাাকের নিয়তে বলি নি।।।তুমি ঝগড়া করছিলে তাই থামানোর জন্য বলেছি,, কারন তুমি মুক্ত বললে ভয় পাও আমি এটা বললে তুমি ঝগড়া থামিয়ে দিবে তাই বলেছি।।।।আমার কোন তালাকের উদ্দেশ্য ছিল না আর নিয়ত ও ছিল না,,,।আর আমার স্বামী বলে এসব শব্দে নাকি তাালক হয় না।।(পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম পরের অধ্যায় ভয়াবহ বলেতে কি বুঝিয়েছেন তখন আমার স্বামী বলে ঝগড়া আরো বাড়বে বুঝিয়েছে)।।।
১ ও ২ নাম্বার পয়েন্টে আমি কোন তালাক চাই নি কথাগুলো শুধু অভিমানে বলেছিলাম বলে আমার মনে পড়ে।।।কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় আবার তালাকের নিয়তে বলেছিলাম কিনা।।।হুজুর এখন আমার এতে সন্দেহ হচ্ছে।। সঠিক মনে করতে পারছি না
৩..আরেকদি আমরা শুয়ে কথা বলতেছি কোন ঝগরা হয় নি।। তখন সম্ভবত অন্য মেয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল তাই আমি অভিমান করে বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও।।ওই সময় আমার স্বামী আমার মাথার কাছে হাত দিয়ে রাখছিল তখন ওনি আমার থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে ওকে দিলাম/ নাকি ছেড়ে দিলাম বললো সেটা মনে নেই।।আমি বললাম তালাক দিয়েছ নাকি,,,তখন আমার স্বামী বলে তালাক দিব কেন তুমি বলেছে ছেড়ে দিতে তাই আমার হাত সরিয়ে নিলাম তরপর বললো আমি ধরে রাখাতে তুমি অস্বস্তি ফিল করতেছ তাই হাত সরিয়ে নিলাম ।। আমি ছেড়ে দিতে বলেছি সে এটা বুঝতে পারে নি সে মনে করেছে আমাকে ধরে রাখাতে আমি বলছি ছেড়ে দিতে, কিছুদিন পর আবার জিজ্ঞেস করেছি আমি যে ছেড়ে দিতে বলেছি তুমি কি সত্যি বুঝ নি,,তখন আমার স্বামী বলে না আমি মনে করেছি তোমার থেকে হাতটা ছেড়ে দিতে বলেছো।।যতবার জিজ্ঞেস করেছি সে একি কথা বলে আমি আমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছি আমার স্বামী তা বুঝতে পারে নি,,বলল আমি মনে করছি তোমার হাতটা ছেড়ে দিতে বলেছো।।,, তখন আমি বললাম তুমি তে আমার হাত ধরে রাখে নি,,আমার মাথায় কাছে হাত দিয়ে রাখছিলে,,তখন স্বামী বলে একি,,পরে আবার বলি সত্যি বুঝনি আমি ছেড়ে দিতে বলছি,,তখন আবার বলে না আমি বুঝি নি.।।। এখন হুজুর আমার স্বামী যদি বুঝতে পেরেও স্বীকার না৷ করে
৪। ঝগড়া করে আমি স্বামীকে বলেছিলাম ডিভোর্স লেটার পাঠাই দিব। তখন আমার স্বামী বলে ওকে পাঠাই দিও।।পরের দিন স্বামী মেসেজ দিয়ে বলে কই ডিভোর্স লেটার পাঠালে না তো।।আমি বললাম মেয়েরা পাঠাতে পারে না,,আপনি পাঠান আমি সই করে দিব।।। স্বামী বলে আমি কেন পাঠাব আমি তে বলিনি,,, যদি না পাঠাও তাহলে আরেকবার ডিভোর্স দিবা বলো তাহলে আমি ওই ৩ টা শব্দ বলে দিব।।তখন আমি বললাম তখনের জন্য অপেক্ষা করে কি লাভ এখনই বলে দেন,,,,তখন আমার স্বামী৷ বলে তুমি শুধু মৌখিকভাবে বলে ডিভোর্স দিবা তাহলে আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে।।।এরপর আমি আর কিছু বলি নি,,,কিছু দিন আগে আমি মেসেজ গুলো দেখতে গিয়ে এই মেসেজ গুলা চোখে পরে,,,পরে আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি তুমি যে আমাকে বললা তুমি শুধু মৌখিক ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তখন আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে তার মানে কি।।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি যদি চূড়ান্ত ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তাহলে আমি ঐ শব্দটা বলে দিব এটা বুঝিয়েছি।।।তারপর আমি বললাম তুমি কি ডিরেক্ট তালাক হয়ে যাবে এটা বুঝাইছো আমার স্বামী বলে না এটা বুঝায়নি,,বলেছি শেষ বাক্য হয়ে যাবে মানে তুমি ডিভোর্স দিবা বললে আমি এই বাক্যটা বলে দিব এটা বুঝায়ছি।।।।
তারপর একদিন আমি আমার আপার কাছে বলছি সে যদি এমন করে আমার চাকরী করা নিয়ে তাহলে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব।।,আমার বোন কে যে বলেছি ডিভোর্স দিয়ে দিব এতে কি কোন সমস্যা হবে।।। কিছুদিন আগে শ্বশুর কেও বলছি আপনার ছেলেকে ছেড়ে দিব।।
কিন্তু স্বামীকে এটা বলেছি আপনার সাথে থাকবো না,,আমাকে ছেড়ে দিন।।আমি আমার স্বামীকে এটাও বলছি আপনার সাথে সংসার করবো না আমাকে ছেড়ে দেন।।তবে স্বামীকে সরাসরি ডিভোর্স দিব বলছি কি না মনে নেই।
৫।। ফোনে আমার স্বামী একদিন বলতেছে,, তোমার স্বামী অনেক গরীব,,তখন আমি বললাম তুমি যে এতো গরীব তাতো আমি জানতাম না।।তখন আমার স্বামী বলে তোমার সামনে অনেক সোনালী দিন পড়ে আছে তুমি যদি মনে করো আরো ভালো লাইফ লিড করতে চাও তাহলে চলে যাও,,,আমি বললাম আমি কি চলে যাব বলছি নাকি।।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি যদি মনে করো আরো ভালো থাকতে চাও তাহলে চলে যাও।।। তখন আমি বলি তুমি তালাক না দিলে যাব কিভাবে,, স্বামী বলে আমি কেন দিব আমি তো বিয়ে করেছি তালাক দেওয়ার জন্য না,, তখন আমি বলেছি আচ্ছা চলে যাব।।। শুধু মুখেই বলেছি যাব কিন্তু আমার কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।।সাথেই আমি আাবার তাকে জিজ্ঞেস করেছি তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো তখন আমার স্বামী বলে তালাকের নিয়তে কেন বলবো।।আমি তো বিয়ে করেছি ছাড়ার জন্য না।।
এতে কি আমার তালাক হবে,,আর অধিকার দেওয়া বুঝালে কি সাময়িক সময়ের জন্য নাকি?
৬।।একদিন আমি আমার স্বামীকে তালাক সম্পর্কে বুঝাতে গিয়ে বলছিলাম যে- স্বামী যদি বলে আমি তোমাকে তালাক দিলাম তাহলে তালাক হয়ে যাবে।।।তখন আমার স্বামী বলে - (১।আমি কি তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলছি নাকি? ২। আমি তোমাকে তালাক দিলাম এভাবে বলছি আমি ?)) এই দুই ভাবের যে কোন এক ভাবে বলেছে আমার সঠিক মনে নেই।।। আমাকে তালাক দেওয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিল না আর আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেনি,,শুধু বোঝাচ্ছিলাম বলে স্বামী আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি এভাবে বলছি নাকি।।।অনেক দিন পর আবার জিজ্ঞেস করেছি তুমি কথাটা কিভাবে বলেছিলা।।।।তখন স্বামী বলে আমি বলছি- আমি কি তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলছি নাকি? এই কথাগুলো দুইদিন হয়েছে।
৭।। আমি আমার স্বামীকে বলছিলাম আপনি অন্যদের যেভাবে গুরুত্ব দেন তার কানাকড়ি ও আমাকে দেন না।।। তার জন্য ইদানীং শুধু মনে হয় আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেই হয়তো ভালো হতো।।তখন আমার স্বামী বলে,, তাই নাকি ডিভোর্স,, আমি বললাম হুম,,,তখন আমার স্বামী বলে,, এটা তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত,, আমি বললাম হুম,,,তারপর আমার স্বামী বলে যে মেয়ে ডিভোর্স চায় কথায় কথায় সে জাহান্নামী।।।।তারপর আমি বললাম আপনি তো এখন ডিভোর্স বলছেন,,তখন আমার স্বামী বলে আমি তোমাকে এটা বলি নি,,,তুমি বলছো ডিভোর্স দিবা তাই আমি বলছি তাই নাকি ডিভোর্স,,, এটা দিয়ে আমি বুঝাতে চেয়েছি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিবা,, আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছি যে তাই নাকি ডিভোর্স,,, আমি ডিভোর্স দেয় নি তোমাকে।।
৮।। আমার এক চাচাত ভাইয়ের বউ তার স্বামীকে তুই করে বলে,,পরে আমি আমার স্বামীকে একথাটা বলি,,,তখন স্বামী আমাকে বলে তুই করে বললে সম্পর্ক শেষ,, পরে একদিন আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে তুই করে বললেই সম্পর্ক শেষ তখন স্বামী বলে হুম।।স্বামী বলে স্ত্রী কেন তুই বলবে,,স্ত্রী কে সাজিয়ে রাখার জিনিস সে কেন তুই বলবে।।। একদিন ঝগড়া করে স্বামীকে আমি তুই করে বলছি,৷ ,,,পরে স্বামীকে আমি জিজ্ঞেস করি তুমি যে বললা তুই করে বললেই সম্পর্ক শেষ এটা কি তালাকের নিয়তে বলছো যে আমি তুই বললেই তালাক দিয়ে দিবা।। তখন স্বমাী বলে না,,তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছি যাতে তুমি তুই করে না বলো।।আমি তালাকের নিয়তে বলিনি।,,আমি বললাম আপনি তালাকের নিয়তে বলছেন,,তখন স্বামী বলে আমার থেকে কি তুমি বেশি জানো,,আমি কি বিয়ে করছি তালাক দেওয়ার জন্য,,,আমি সম্পর্ক শেষ বলছি তোমাকে ভয় দেখানের জন্য যাতে তুই করে না বলো।।।।স্বামী বলে না কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।এমনি বলছি।।।এতে কি তালাক হবে।।
৯।।আমার স্বামী আমাকে বলে তোমার চাকরী ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও,,বাসায় চলে আসো,, তখন আমাকে মেনে চলতে হবে,, দুই ্ঈদে তুমি বাবার বাড়ি যাবা।।আমি বললাম যদি তোমার কথা না মানি, তখন আমার স্বামী বলে যদি আমাকে না মানেন তাহলে আপনি যানগা/নাকি যায়েনগা বলছে মনে নেই।।আমার কথা যদি না মানেন তাহলে আপনাকে রেখে কি করবো,, যে মেয়ে স্বামীর কথা শুনে না।। আমি বললাম মানলাম না আপনার কথা,,তখন আমার স্বামী বলে এটা কেমন কথা আমাকে মানবেন না,,বাবার বাড়ির মায়া না ছাড়লে তো আপনার সমস্যা হবে।।।তখন আমি বললাম চাকরী ছেড়ে চলে আসলে দুই ঈদ ছাড়া কি যেতে দিবেন না,তখন আমার স্বামী বলে কোন সমস্যা হলে যাবেন,, তাছাড়া আমার সাথেই থাকবেন।।আমি বললাম ২ মাস কিংবা তার বেশি সময় থাকলে তখন আমার স্বামী বলে এতো দিন বাবার বাড়ি কেন থাকবা। এখন হুজুর চাকরী ছাড়ার পর স্বামীর কথা না মানলে কি তালাক হয়ে যাবে।।পরে যখন আমি জিজ্ঞেস করছি এগুলো কি তালাকের নিয়তে বলছেো,তখন আমার স্বামী বলে না তালাকের নিয়তে বলি নাই,,তখন আমি বললাম তাহলে কেন বললে তখন আমার স্বামী বলে রাগ হলে তো কত কথায় বলে কিন্তু তালাকের নিয়তে বলি নি,,বলছি বাবার বাড়ি চলে যেতে, ওখানে গিয়ে কত মাস থাকতো পারো সেটা দেখবো,,এগুলো বলছে।।তারপর বলে বাবার বাড়ি ছাড়া কিছুই বুঝ না।।
স্বামীর সাথে থাকায় উত্তম,,কিন্তু কথা হলো আমি যদি আমার স্বামীকে মানিয়ে আমার বাবার বাড়িতে বেশি দিন থাকি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে।।স্বামী যদি বলে তোমার বাবার বাড়িতে থাকলে সমস্যা নেই।। স্বামীকে যদি আমি মানাতে পারি তার কথার অবাধ্য না হয়ে তাকে মানিয়ে যদি বাবার বাড়ি থাকি তাহলে কি সমস্যা হবে।।। আর যদি তার কথা না মেনে নিজের ইচ্ছায় বাবার বাড়ি থাকি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে।।এটা কি শর্তযুক্ত তালাক এর পর্যায়ে পড়ে।।তার কথা না মানলে কি সমস্যা হবে।।
১০।।।আমার স্বামী একটা নাটক দেখেছে তালাকের বিষয়ে,, এটা সে দেখে আমাকে পাঠাইছে।।তখন আমি আমার স্বামীকে বললাম তুমি কি উচ্চারণ করেছো এই শব্দটা তখন আমার স্বামী বলে না, তবে বলব,, আমি বললাম কখন বলবা তখন আমার স্বামী বলে যদি তুমি আমার সেবা যত্ন না করো।।।সে মুখে তালাকের কোন উচ্চারণ করেনি আমিও করিনি।।।কথাগুলো মজা করে বলা হয়েছে নাটক দেখার প্রেক্ষিতে
এখন প্রশ্ন হলো এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হলো,, আর আমার সেবাযত্ন যদি কখনো কম হয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে নাকি তার বলতে হবে???
১১।।।আরেকদিন ফোনে কথা বলার সময় আমি স্বামীকে বলতেছি বয়স করে বিয়ে হলে নাকি ভালো বিয়ে হয়,,তখন স্বামী বলে কেন তোমার ভালো বিয়ে হয় নি।।আমি বললাম না,,তখন স্বামী বলে বিয়ে ভালো না হলে চলে যাও,,আমার ইচ্ছে হলে চলে যেতে বলছিল, কিন্তু সে আমাকে কখনো তালাক দিবে না বলছে,,আমি বলেছি তালাক দিয়ে দাও চলে যায়,,তখন স্বামী বলে আমি কেন দিব,, আমি তো বলিনি আমার বিয়ে খারাপ হয়েছে আল্লাহ তোমার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ,, আমি তোমাকে নিয়ে ভালো আছি।।তারপর বলে আমি সবসময়ই তোমাকে বলি তুমি স্বাধীন তোমার কোন ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করবো না,,তুমি তোমার মতো চলতে পারবে,,,স্বাধীন টা সে তালাকের জন্য বলেনি। ।।বলেছে আমি আমার মতো চলতে পারবো,,আমার কোন ব্যপারে হস্তক্ষেপ করবে না এটা বলেছে।।সবসময় বলে আমার কোন কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।।স্বাধীন মতো চলতে পারবো,,আমাকে কোন কিছুতে না করবে না। ,,, এতে কি তালাক হবে,,তালাকে অধিকার দিলে কি সাময়িক এব জন্য।
১২।।।আমি আর আমার স্বামী কথা বলতেছি আমার চাকরির টাকা নিয়ে।।।আমার স্বামী বলতেছে তোমাকে মাকে কত টাকা দিয়েছো,,আমি বললাম এতো টাকা তখন স্বামী বলে এতো কম কেন,,তখন আমি বললাম আমার মা তো আমার কাছে টাকা চায় নি,,আর বেশি টাকা দিলে আমি কিভাবে চলবো,,তারপর আমার ফুফু শ্বাশুড়ি বলতেছে তোমাদের তো ভাই নেই যা সম্পদ আছে সব তো তোমরাই পাবা,,এরপর আমি বললাম আমার মাকে এক টাকা দেওয়ার মতো কেউ নেই যা সম্পদ আছে আমার মা খেয়ে পড়ে মানুষকে দান করার পর থাকলে আমরা নিব,,,,আমার চাকরি টাকা নিয়ে আরো অনেক কথা হয়েছে।।।((((((আমার স্বামী তার ফুফুকে বলতেছে আমার মা তিনটা ভালো মেয়ের জামাই পাইছে,,,আরো বলছে বড় দুই বোনের জামাই কোটিপতি,,,, তখন আমি বললাম খালি আমার স্বামী কোন টাকা নেই।।।তখন আমার স্বামী বলে তোমার উচিত ছিল বড়লোক জামাই দেখে বিয়ে করা।।।এই কথাটা এই আলোচনার মধ্যেই হয়েছে কিন্তু আগে না পরে হয়ছে সেটা মনে নাই৷))))) আমি আমার স্বামীকে বলতেছি আমার ছোট বোন ও বলতেছে আমাকে কয়েকটা টাকা বাড়িয়ে দিলে কি হয়,,,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি দাও না কেন,,তুমি দিতে পারো না এটা তোমার ব্যর্থতা, আমি তো তোমার থেকে এক টাকা ও নেই না,,,তোমাকে তো ছাইড়া দিলাম,,,,,,,,,তখন আমি বললাম ছাইড়া দিলাম মানে,,তখন আমার স্বামী বলে আমি আর্থিকভাবে ছাইড়া দেওয়ার কথা বলছি,,তখন আমি বললাম তুমি তালাকের জন্য বলো নি,,তখন আমার স্বামী বলে তালাকের জন্য কেন বলবো আমি আর্থিকগত ভাবে ছাইড়া দিলাম তোমার থেকে কোন টাকা নেই না তোমাকে এটা বুঝায়ছি,,, সে বুঝাতে চেয়েছে আমি চাকরী করি আমার থেকে এক টাকাও নেয় না এ বিষয়টা আমাকে ছাইড়া দিছে,, তারপরও আমি দিতে পারি না কেন আমার বোন কে।।।((((হুজুর এখানে বলে রাখি আমাদের কোন তালাকের আলোচনা কিংবা ঝগড়া কোন কিছু এখানে হয় নি।। মোটকথা ছাইড়া দিলাম অন্য অর্থে ব্যবহার করলেও আমার ভয় লাগে।।।। ))))
তারপর আমার স্বামীকে আবার জিজ্ঞেস করছি ছাইড়া দিলাম তুমি কি তালাকের অর্থে ব্যবহার করেছো,,,তখন আমার স্বামী আমার তো তালাকের কথা মাথাতেই নেই,, তুমি এখন বলাতে মনে হয়েছে,,,ছাইড়া দিলাম কি শুধু তালাকের অর্থে ব্যবহার হয়,,অন্য কোন অর্থে কি ব্যবহার হয় না,,,তারপর বলে এখন তাহলে তোমাকে এই কথাটা বলাই যাবে না,,বললেই বলবা তালাকের জন্য বলছি কি না।।।
এখন আমার প্রশ্ন হলো আমার স্বামী তো বলতে পারতো আর্থিক ভাবে ছাইড়া দিলাম তোমাকে,, আমি তো এক টাকাও নেয় না,,,,,,,এভাবে না বলে আমার স্বামী বলছে আমি তো তোমার থেকে কোন টাকা পয়সা নেয় না,,তোমাকে ছাইড়া দিলাম।।। এভাবে বলাতে কি বিবাহে কোন সমস্যা হবে হুজুর
আমার কিংবা আমার স্বামীর কারো কিন্তু তালাকের চিন্তা মাথায় আসে নি এবং কোন ঝগড়া ও না,,,,স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছিলাম।।।এতে কি তালাক হবে
১৩।।মজা করে ফোনে কথা বলার সময় বলেছিলাম আমাকে একজন বলেছে আমি চলে গেলে বিয়ে করবে,,তখন স্বামী বলে যাও নিষেধ করছে কে,,,আমি বললাম আমি যেতে হলে তো তোমার আমাকে ছাড়তে হবে,,তখন আমার স্বামী বলে আমি কেন ছাড়বো,,আমি কি বিয়ে করবো নাকি,, তুমি করবা কিভাবে করবা সেটা তুমি জানো।।তখন আমি বললাম তাহলে তো আর আমি বিয়ে করতে পারবো না।।তখম বলে বিয়ে করলে কি দাওয়াত দিবে আমাকে তখন আমি বললাম না,,আমি অন্য কাউকে বিয়ে করলে তুমি পরপুরুষ থাকবা তাই দিব ন,,,এখানে তালাকের কোন নিয়ত ছিল মা,,,শুধু মজা করে কথাগুলো হয়েছে।।।
১৪।। মাসালা জানার জন্য হুজুর সাথে কথা বলছিলাম,,স্বামী বার বার কল দিচ্ছিল,,পরে যখন রিসিভ করলাম স্বামী জিজ্ঞেস করাতে বলছিলাম হুজুর সাথে কথা বলছি,,তখন রাগে বলে যাওগা হুজুরের সাথেই,,,,বার বার যখন বলতেছে যাওগা হুজুরের সাথে তখন আমি বলছি তোমার যদি আমাকে ভালো না লাগে আমার বোনের সাথে কথা বলে আমাকে তালাক দিয়ে দাও,,আমাকে দেলাও,,তখন আমার স্বামী বলে আমি দেওয়ার কি আছে তুমি তো গেছগাই,,,,,,পরে আমি বললাম তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো,,আমার স্বামী বলে না আমার খুব রাগ হয়েছে তুমি হুজুরের সাথে কথা বলাতে তাই রাগে বলছি।।স্বামী বলে বার বার কল দিচ্ছি আমার কল না ধরে হুজুর এর সাথে কথা বলছো তাই রাগে বলছি।।।কেন তালাকের নিয়ত ছিল না।।
১৫।।।আমি নিজে নিজে বলি আমার স্বামী তো আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম এটা না বলে,, আমি তোমার থেকে মুক্তি নিলাম এটাও বলতে পারতো।।।তাতে কি আমার নিজের উপর পতিত হওয়া বুঝাবে।।।আমি যদিও নিজেকে বলিনি,,পরে আবার মনে হচ্ছে নিজেকে বললাম নাতো।।। মেয়েরা কিভাবে তালাক নেয় এটা আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে জোরে পড়লে কি সমস্যা হবে মানে নিজের উপর কি পতিত হবে যদি স্বামী অধিকার দিয়ে থাকে।। মেয়েরা কিভাবে নফসের উপর তালাক নেয় এটা শব্দ করে পড়লে কি তালাক হয়ে যাবে।।কারন আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে মেয়েরা কিভাবে নফসের উপর তালাক নেয় এমন প্রশ্ন অনেকবার পড়ছি।।
১৬।।।আমার স্বামীর সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়,,আমি রেগে গিয়েছিলাম বাট আমার স্বামী নরমাল ছিল যা বলার আমি বলেছি।।
আমি রেগে গিয়ে বলেছি বিয়ের আগে জানলে এমন জামাই মাটি দিয়ে বানিয়ে ফেলতাম কিন্তু তোমাকে কখনো বিয়ে করতাম না, তখন আমার স্বামী বলছে বানিয়ে করে ফেল।।।এখানে স্বামীর কোন তালাকের নিয়ত ছিল না শুধু আমাকে রাগাতে বলেছে বিভিন্ন কথা।।।
এতে কি তালাক হবে।।
নোট:::::হুজুর আমি আমার স্বামীকে যতবার জিজ্ঞেস করেছি ততবার সে বলে আমি তালাকের নিয়তে কিছু বলি নি,,এবং বলে বিয়ে তো আমি তালাক দেওয়ার জন্য করিনি।।এবং বলে যেসব মেয়ে তালায় চায় তারা জাহান্নামী।। এবং ঝগড়া সময় জিজ্ঞেস করলেও বলছে আমি কেন তালাক দিব,, তোমার মন চাইলে তুমি দাও আমি সই করে দিব,,আমার এতো সময় নেই যে আমি ডিভোর্স লেটার পাঠাবো এগুলো বলে হুজুর।।।এখন অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে কথা বলিনা।।কিন্তু বেশির ভাগ সময় মাথায় তালাকের চিন্তা ঘুরে যে তখন এসব কথা কেন বলতাম,আমাদের কি তালাক হয়ে গেল নাকি এগুলো???
আমার স্বামীকে এতো পরিমাণ জিজ্ঞেস করছি যে এখন জিজ্ঞেস করলে খুব রাগ করে আর বলে তুমি এসব কথা বললে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।।বলে আমার সাথে এসব বিষয়ে কোন কথা বলবা না।।।,, হুজুর আমার স্বামী এখন নরমাল কোন কথা বললেও জিজ্ঞেস করি তুমি কেন নিয়তে বলছো