ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/212
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি জায়গা তথা একদিন এক রাতের দূরত্ব সমপরিমাণ জায়গা সফর করতে পারবে। অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে। তবে এর চেয়ে বেশী মাহরাম ব্যতিত পারবে না। হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে, তথা ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে এবং সেখানে যাওয়া জরুরী হলে তখন নেককার মহিলাদের এক জামাতের সাথে মাহরাম ব্যতিত সফর করার অনুমোদন থাকবে।
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী,আপনি আপনার বাবাকে নিয়ে খালা শাশুড়ী বাড়ীতে যাবেন।যেহেতু বিশেষ জরুরত রয়েছে,তাই আপনার শাশুড়ি আপনার সাথে যেতে পারবেন। কেনননা বিশেষ পরিস্থিতিতে নেককার মহিলা/মহিলাদের সাথে সফর করার রুখসত রয়েছে।
(২) ফরজ নামাজে ২ রাকাআত পড়ার পর ৩য়/৪র্থ রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়ে ভুলে বিসমিল্লাহ পড়ে ফেললে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
(৩) সাহু সিজদাহ দেয়ার পর আবার বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়াই নিয়ম সুতরাং নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং দু'আয়ে মাছুরা পড়ে নেয়াই নিয়ম।
(৪) তাহাজ্জুদ নামাজে সানা পড়ে শুরু করা হলেও পরবর্তীতে বিতর শুরুর ক্ষেত্রে আবার সানা পড়তে হবে।
(৫) নামাজরত অবস্থায় কোনো নন-মাহরাম হঠাৎ করে রুমে আসলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে মুখ ডেকে নিবেন
তারপর ঐ নামাযকে আবার পড়ে নিবে। এমন স্থানে নামায পড়বেন, যেখানে নন মাহরাম কেউ না আসে। যদি নন মাহরাম আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে নেকাব পরিধান করে নামায পড়ে নিবেন।