ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মোটকথা,
যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
আরবী ব্যতীত অন্যান্য ভাষায় নামাযে দু'আ করা মাকরুহে তাহরিমী(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৩২)
আরো........
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/185
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয নামাযে কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আই পড়তে হবে। এবং আরবীতে পড়তে হবে। হ্যা, নফল নামাযে নিজ নিজ মাতৃভাষায় দু'আ করার রুখসত কেউ কেউ দিয়ে থাকেন।তবে সর্বাবস্থায় আরবীতে এবং কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ পড়াই উত্তম।
(১) ফরয, সুন্নাত,নফল যে কোনো সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ, দুয়া মাছূরা পাঠ করার পর কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত যে কোনো দুয়া করা যাবে। চায় অর্থের মধ্যে দুনিয়া থাকুক বা আখেরাহ। কেননা সরাসরি কুরআন হাদীস থেকে পড়ে নিলে সেটা দুনিয়াবী উখরাবী বিষয়ের উর্ধে চলে যাবে।
(২) সেই হিসেবে সূরা বনি ইসরাইলের ৮০ নং আয়াতে যেই দু'আ বর্ণিত আছে, সেটা আপনি পড়তে পারবেন। কেননা কুরআনে এসেছে।
(৩) কোনো একই সালাতে দু'আ মাসূরার পর একত্রে পাঁচ ছয়টি দু'আ (কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত এমন দুয়া) পড়া যাবে।