জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারীদের নারী-পুরুষ,সুস্থ অসুস্থ সবার জন্যই ওমরার ইহরাম মসজিদে আয়েশা সহ সকল হুদুদে হেরেমের শুরু সীমানা থেকে করাই যথেষ্ট।
সেই হিসেবে বিদেশি হাজিরাও কোন সফরের দ্বিতীয়-তৃতীয় ওমরার জন্য ওখান থেকে ওমরার ইহরাম বাধতে পারবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَهْلَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَكُنْتُ مِمَّنْ تَمَتَّعَ، وَلَمْ يَسُقِ الْهَدْىَ، فَزَعَمَتْ أَنَّهَا حَاضَتْ، وَلَمْ تَطْهُرْ حَتَّى دَخَلَتْ لَيْلَةُ عَرَفَةَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ لَيْلَةُ عَرَفَةَ، وَإِنَّمَا كُنْتُ تَمَتَّعْتُ بِعُمْرَةٍ. فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْقُضِي رَأْسَكِ، وَامْتَشِطِي، وَأَمْسِكِي عَنْ عُمْرَتِكِ ". فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ فَأَعْمَرَنِي مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي نَسَكْتُ.
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমিও তাদেরই একজন ছিলাম যারা তামাত্তুর নিয়্যত করেছিল এবং সঙ্গে কুরবানীর পশু নেয়নি। তিনি বলেনঃ তার হায়েয শুরু হয় আর আরাফা এর রাত পর্যন্ত তিনি পাক হননি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আজ তো আরাফার রাত, আর আমি হজ্জের সঙ্গে উমরারও নিয়্যত করেছি। আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ মাথার বেণী খুলে ফেল, চুল আঁচড়াও আর উমরা হতে বিরত থাক। আমি তাই করলাম। হজ্জ সমাধা করার পর আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর (রহঃ) কে ‘হাসবায়’ অবস্থানের রাতে (আমাকে উমরা করানোর) নির্দেশ দিলেন। তিনি তানঈম হতে আমাকে ‘উমরা করালেন, যেখান হতে আমি ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। (বুখারী শরীফ ৩১৬.২৯৪) (আ.প্র. ৩০৫, ই.ফা. ৩১০)
বিস্তারিত জানুনঃ
★যদি কোনো ব্যাক্তি বাহিরের দেশ থেকে মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যায়,এবং মিকাত থেকে ইহরাম না বাধে,বরং মক্কায় গিয়ে মসজিদে আয়েশায় পৌছে ইহরাম বেধে থাকে।
তাহলে যতক্ষন পর্যন্ত সে ওমরাহ এর কাজ সম্পন্ন না করবে,তার উপর জরুরি হলো মদিনা মুনাওয়ারা অথবা তায়েফের মিকাতে গিয়ে সেখানে ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়াহ পড়তে পড়তে ফিরে আসবে।
যদি সে এমনটি না করে,আর ওমরাহ এর কাজ সম্পাদন করে,তাহলে তার উপর একটি দম আবশ্যক হবে।
"(دخل كوفي) أي آفاقي (البستان) أي مكاناً من الحل داخل الميقات (لحاجة) قصدها، ولو عند المجاوزة، على ما مر، ونية مدة الإقامة ليست بشرط على المذهب (له دخول مكة غير محرم، ووقته البستان ولا شيء عليه)؛ لأنه التحق بأهله، كما مر". (شامی 2/581)
সারমর্মঃ-
যারা বহিরাগত, তারা যদি কোনো হাজতের জন্য মিকাতের মধ্যে প্রবেশ করে তার কাজের জন্য,তার জন্য ইহরাম ছাড়া প্রবেশ জায়েজ আছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রিয়াদ থেকে জেদ্দায় যদি আপনি কাজের জন্য যান,সেক্ষেত্রে আপনি ইহরাম ছাড়া জেদ্দায় কাজের জন্য যেতে পারবেন।
এবং সুযোগ মিললে যখন উমরাহ করবেন,তখন জেদ্দা থেকেই উমরার ইহরাম বেধে নিবেন।
আর যদি আপনি জেদ্দায় কোনো কাজের জন্য না যান,এমনিতেই জেদ্দায় নেমে আবারো মক্কায় যান,তাহলে ৫ মিকাতের মধ্য হতে কোনো এক মিকাত অথবা তার সমপরিমাণ বা তার পূর্বেই ইহরাম বেধে নিবেন।
সুতরাং সেক্ষেত্রে আপনি রিয়াদ থেকে অথবা তায়েফের মিকাতে গিয়ে ইহরাম বেধে নিবেন।