আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)

আসসালামু আলাইকুম

 প্রশ্ন () আমার ওষুধের ব্যবসায় লাভ হয়নি প্রায় সাত আট লাখ টাকা লস হয়েছে এজন্য আমি ব্যবসা আর করি না অল্প কিছু  দিন হলো আমি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি পেয়েছি কিন্তু সমস্যা হল এই ফ্যাক্টরির  সকল সদস্যকে বাধ্যতামূলকভাবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট করতে হবেএর কারন বেতনের টাকা তার এই একাউন্টে জমা হবে এবং তার টাকা এই একাউন্ট থেকে তুলতে হবে আর বিভিন্ন  সুবিধামূলক বিভিন্ন  ভাতার টাকাগুলো কোম্পানি তার এই একাউন্টে জমা হবে ।এই ব্যাংক তার এই বেতনে টাকার উপর ভিত্তি করে সুদ দেয় এখন আমি কি করতে পারি, যখন এককালীন টাকা পাবো তখন সেই টাকা থেকে সুদের অংশটুকু বিনা সওয়াবের আশায় গরীব মানুষকে দিয়ে দিলে হবে কি? আমার কাজ শুধু গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আহত হলে তাদের ট্রিটমেন্ট করা ওষুধ দেওয়া এখন আমি জানতে চাই আমার এই চাকরি করা কি জায়েজ হবে আমি কি করতে পারি জানাবেন দয়া করে

প্রশ্ন () আমি একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেছি এখানে আমার খাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছিল বলে বাড়ির মালিক আমাকে বলল যে  মুসলমান হিসেবে একদিন দুইদিন তোমাকে খাওয়াতে পারি এটা কি ঠিক না বলো এটা ঠিক  তখন আমি মনে মনে ভাবতে ছিলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ৪০ বাড়ি পর্যন্ত খুঁজে দেখতে বলেছে কেও ক্ষুদার্থ আছে কিনা  তাহলে তো প্রতিদিনই খাওয়ানো উচিত কিন্তু লোকটির কথায় আমি লজ্জায় বলেছি যে  সঠিক বলার সময় আমার এই জ্ঞান ছিল  যে আমি ইসলামের নামে ভুল বলছি কিন্তু ইসলামের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে  ভুল বললে সেই ব্যক্তি মুরতাদ বা কাফের হয়ে যায় কি কিংবা হয়ে যায় না বিষয়ে আমার তখন কোন স্মরণ ছিল না আমি লজ্জায় মিথ্যাটা বলে ফেলছি যে, "সঠিক "অর্থাৎ  একদিন দুইদিন খাওয়ানো উচিত এটাই আমি স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছি কিন্তু আমি বলার সময় একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম যে ইসলামে নামে মিথ্যা বললে তার পরিণতি কি হয?  এখন কি আমি কাফের কিংবা মুরতাদ হয়ে গিয়েছি কি? যদি কিছু না হয় তাহলে তার কারণটা একটু দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো সুদ ভিত্তিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই।
কারন এতে আপনি সুদ না খেলেও তারা আপনার টাকা খাটিয়ে সুদ খাবে,সুদি কর্মকান্ডে তারা আপনার টাকা লাগাবে,সুতরাং আপনার একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি সুদি কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন,তাই এসব ব্যাংকে একাউন্ট খোলা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বাধ্যতামূলক ঐ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে যখন এককালীন টাকা পাবেন, তখন সেই টাকা থেকে সুদের অংশটুকু বিনা সওয়াবের আশায় গরীব মানুষকে দিয়ে দিলে হবে।

তবে তারপরেও সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

(০২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 81 views
...