আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by

আসসালামু আলাইকুম, 

১! আমার  একটা ফ্রেন্ড তার পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে একটা ছেলে কে বিয়ে করে,এরপর অনেক চেষ্টার পর যখন কোন ভাবেই আর ব্যপারটা আগাচ্ছিলনা,তখন সে আলাদা হওয়ার চিন্তা করে এবং তালাক চায়,কিন্তু হাসবেন্ড  তালাক দিতে চাচ্ছিলেন না,যখন আমার ফ্রেন্ড  কোন ভাবেই পারছিলো না,তখন হাসবেন্ড বলেছেন আমরা আলাদা ভাবে থাকি বাসায় বলো আমাদের মাঝখানে কোন সম্পর্ক নাই পরে সুজগ থাকলে এক হবো,যখন এটাও আমার ফ্রেন্ড মানছিলেননা,এই বিষয় নিয়ে আবারও পরের দিন কথা হইসে আমার ফ্রেন্ড  বার বার মুক্ত হতে চাচ্ছিলো,,কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে তার স্বামী বলে আমি আর যোগাযোগ করবো না,তখন আমার ফ্রেন্ড বলে যাওয়ার আগে তালাক দাও,তখন সে বলে তালাকই ভেবে নাও,কিন্তু তখন নিয়ত করেনি তালাকের,আমার ফ্রেন্ড এর মনে হয়েছে তালাক হয়নি,পরে কিছুক্ষণ পর যখন আমার ফ্রেন্ড আর থাকতেই চাচ্ছিলনা তার হাসবেন্ড তখন রেগে বলে you are free now,,do whatever you want!!এবং তাকে ব্লক মেরে দেয়,কিন্তু তার মনে হচ্ছিলো তালাক হয়নি,তাই  সে আবার রাতে অন্য ভাবে মেসেজ দিয়ে ব্লক খুলে অনেক বুঝায় যে আমার বিয়ে ঠিক করছে যদিও আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না,তবুও আমি আলাদা হতে চাই,,এবং অনেক বুঝিয়েছে,একপর্যায়ে তার হাসবেন্ড  বলেছে তোমাকে তালাক দিলাম,পরে তার হাসবেন্ড আমাক মেসেজ দিয়েছে এবং বলেছে তার এক তালাকের নিয়ত ছিল,পরিস্তিতি সাভাবিক হলে ফিরিয়ে নিবে,এখন কি তাদের তালাক হয়েছে?আর তালাক হইলে কত তালাক হইসে?আর তার হাসবেন্ড তাকে ফিরিয়ে নিতে চায় আর আমার ফ্রেন্ড না যায় তাহলে কি তিন মাস পর তাদের এই বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে?সে ইদ্দত এর মধ্যে যদি ফিরে না যায় তাহলে কি অন্যএ বিয়ে দিলে বিয়ে হবে?

২!আসলে পরিবারের চাপে পরে আমার ফ্রেন্ড এর আরেক যায়গায় কাবিন করায়,কিন্তু আমার ফ্রেন্ড জানে ইদ্দত এর আগে অন্য বিয়ে হবেনা তাই সে কবুল বলেনি আরও ৪ মাস পর কবুল বলবে এটা  ওদের কে বলে দিয়েছে,শুধু সাইন করেছে কাগজে,এখন পরে যদি একি কাবিনে কবুল বলায় পরিবার নিয়ে তখন এই বিয়ে টা হবে কিনা?একটু বিস্তারিত জানাবেন আমাকে হুজুর!"

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
(০১)
আপনার বান্ধবীর বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর সে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে।

(০২)
হ্যাঁ,ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর যখন সাক্ষীদের সামনে ইজাব কবুল করবে,তখনই বিবাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...