وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/27934/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়।
কেউ এই ক্ষমতার অপব্যবহার করলে কিংবা ভুল পন্থায় তা প্রয়োগ করলে সে একদিকে যেমন গুনাহগার
হবে অন্যদিকে তালাকও কার্যকর হয়ে যাবে। তাই প্রতিটি বিবেচক স্বামীর দায়িত্ব হল, তালাকের শব্দ কিংবা
এর সমার্থক কোনো শব্দ মুখে উচ্চারণ করা থেকে সতর্কতার সাথে বিরত থাকা।
অবশ্য অতীব প্রয়োজনে তালাক প্রদানে
বাধ্য হলে স্ত্রীর পবিত্র অবস্থায় শুধু এক তালাক দিয়ে ক্ষান্ত হওয়া উচিত। এভাবে
বলবে যে, ‘তোমাকে
তালাক দিলাম।’ তালাকের সাথে ‘বায়েন’ শব্দ কিংবা ৩ সংখ্যা ব্যবহার করবে না। কেউ ‘বায়েন’
শব্দ বলে ফেললে (চাই তা এক বা দুই তালাক হোক না কেন) নতুন করে শরীয়তসম্মত পন্থায়
বিবাহ দোহরানো ছাড়া স্ত্রীর সাথে পুনরায় মিলনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এজাতীয় শব্দ
যেকোনোভাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা, তালাক-সংক্রান্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُواً
আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে
পরিণত করো না। (সূরা বাকারা ২৩১)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরে
উল্লেখিত বিবরণ মতে স্বামী যদি বাস্তবেই প্রশ্নেল্লেখিত শব্দ দ্বারা তালাকের নিয়ত ছাড়া
স্বীয় স্ত্রীকে উক্ত কথা বলে থাকেন,
তাহলে এর দ্বারা বিয়ের কোনো ক্ষতি বা তালাক হয় নি। (ফাতাওয়া উসমানী ২/৩৪৫)
এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/40174/