জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত আমলটি আমল আকারে কুরআন হাদীসে নেই।
তবে রুকইয়াহ কারীরা এমন আমল করে দেয়।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এমন আমল করা যাবে।
,
রাতে ঘরের দরজা, জানালা খোলা রাখবেন না। বরং বন্ধ করে রাখবেন।কেননা হাদিসে শয়তানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সন্ধ্যা বা রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
যেমন: জাবির রা. হতে বর্ণিত।
عَنْ جَابِرٍ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا كَانَ جِنْحُ اللَّيْلِ أَوْ أَمْسَيْتُمْ فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ ، فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ فَخَلَّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الْأَبْوَابَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا ، وَأَوْكُوا قِرَبَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، وَخَمِّرُوا آنِيَتَكُمْ ، وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ ، وَلَوْ أَنْ تَعْرِضُوا عَلَيْهِ شَيْئًا ، وَأَطْفِئُوا مَصَابِيحَكُمْ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রাতের আঁধার নেমে আসে অথবা বলেছেন:যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদেরকে (বাইরে যাওয়া থেকে) আটকে রাখো। কেননা সে সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাদেরকে ছেড়ে দাও এবং বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর বিসমিল্লাহ পড়ে তোমাদের মশকগুলো (চামড়ার তৈরি পানির পাত্র বিশেষ) এর মুখ বন্ধ করো এবং বিসমিল্লাহ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোন কিছু আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের উপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)
কুরআন সুন্নাহের আলোকে শরীর বা ঘর বন্ধ করার নিয়ম হল, চার কুল ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ে শরীর বা ঘরের দরজাসমূহে ফু দেওয়া। বিশেষ করে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফু দেওয়া।
আপনি উক্ত আমল গুলো করতে পারেন
এহেন পরিস্থিতিতে নিম্নোক্ত লিংকের প্রদত্ত আমল গুলো করতে পারেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
৩৩ আয়াত পড়া যেতে পারে। তবে এগুলোকে সুন্নত বা ওয়াজিব বলা যাবে না। এবং আকিদাকেও অশুদ্ধ রাখা যাবে না। সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ রেখে উক্ত আমল করা যেতে পারে।
(০২)
যেহেতু আমলটি কুরআন হাদীসে নেই।
একেক জায়গায় একেকটি থাকতেই পারে।
এক্ষেত্রে রুকইয়াহ কারী থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
(০৩)
প্রতি ওয়াক্তের ফরয, সুন্নাত, নফলের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।
ইশার সালাতের আগে ২ রাকাত নফল পড়লে সেই নফলের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।
এরপর কোনো এক ওয়াক্তের কাযা নামাজ পড়লে সে কাজা নামাজের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।
এরপর ইশার ফরজ পড়লে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।
এরপর সুন্নাত নামাজ পড়লে সুন্নাতের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে।
মোট কথা আপনি যেই নামাজই আদায় করবেন,প্রত্যেক নামাজের তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে। এটা সুন্নাত।