আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

উস্তাদ, এক বোন আমার কাছে এই প্রশ্নটি করেছে: প্রশ্নটি হলো:
দ্বীনের  বুঝ না থাকা অবস্থায় কেউ যদি ইচ্ছা করে রোজা ভাঙে তার জন্য কি কাফফারা দিতে হয়?
কিছু রোজা ইচ্ছা করে রাখেনি আর কিছু রোজা রেখেও ভেঙে ফেলেছিলো। এখন কিভাবে রোজা গুলোর কাফফারা দিতে হবে যদি মনেই না থাকে কয়টা রোজা ভেঙেছে সে?

1 Answer

0 votes
by (60,180 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/12593/  নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে,

আপনি বালিগ হওয়ার বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামনে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি বা নিয়তই করেননি। সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন। এগুলোর কাফফারা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন। যেমন আপনি খানা ও পান করার (বা স্ত্রী সহবাসের) মাধ্যমে ভেঙ্গেছেন।  এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

 

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবেছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবেনাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

 

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)

 

মোটকথাঃ

জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছেতার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।

কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

ক. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে যেই রোজাগুলো এমনি রাখেননি (হিসেব করে) সেই রোজাগুলো আগে কাযা আদায় করে নিতে পারেন। আর এগুলোর নিয়ত এভাবে করতে পারেন যে, “আমার জীবনে যতগুলো রোজা আদায় করা হয়নি তার প্রথম রোজাটির কাযা আদায় করছি।” এভাবে পরের রোজার ক্ষেত্রেও প্রথম বলে নিয়ত করবেন। কারণ, আগের রোজাটি আদায় হয়ে গেলে পরের রোজাটি তখন প্রথম হয়ে যায়।

 

খ. জী হ্যাঁ, কেউ যদি (বালেগ হওয়ার পর) ইচ্ছা করে রোজা ভাঙে তার জন্য কি কাফফারা দিতে হবে। অর্থাৎ জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছেতার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।

কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 166 views
0 votes
1 answer 144 views
...